সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং রাজবাড়ী স্টেশন হয়ে চলাচলের দাবিতে ট্রেন আটকে রেলপথে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
রোববার সকালে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেন রাজবাড়ী রেলস্টেশনে আটকে রেখে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুরো রেলস্টেশন এলাকা প্রদক্ষিণ করে নেতাকর্মীরা।
‘মধুমতি এক্সপ্রেস’ ৩৫ মিনিট ও ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ২০ মিনিট আটকে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা রেললাইন থেকে সরে গেলে বেলা ১২ টায় ট্রেন দুটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ না করে এ রুটে আরও নতুন ট্রেন দেয়ার দাবি জানান। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা।
রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, ‘সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে এখনও আসেনি। রেল মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আমাদের এখনও পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিক কোনো কিছু জানানো হয়নি।
এসময় জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আরজাদ হোসেন আজাদ, সোহেল রানা, আতিয়ার সিকদার আতিক, রাসেল, জেলা সদস্য সুমন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল প্রামাণিক, সাধারণ সম্পাদক প্যারিস হোসেন, যুগ্ন সাধারণ অমি মন্ডল, টিটু, পারভেজ সিকদার, রবিন দাস, রহিম, দপ্তর সম্পাদক আকাশ খান, আলাউদ্দিন, দীপ, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সভাপতি টোকন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক রুবেল মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক রনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাজন মন্ডল, দপ্তর সম্পাদক সুজন আলী, সামিরা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
২০২৩ সালের নভেম্বরে রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেন চলাচল শুরু করে। এতে অল্প সময়ে ঢাকায় যাওয়া-আসার সুযোগ হয় রাজবাড়ীসহ আশেপাশের কয়েক জেলার মানুষের।