নিষিদ্ধ পল্লীর শিশুদের জাতিসংঘ শিশু অধিকার কনভেনশন অনুযায়ী সমাজের অন্য শিশুদের মতো একই অধিকার রয়েছে এবং বাংলাদেশ তা অনুমোদনও করেছে। তবে এ কথা চরম সত্য যে, জীবনের প্রথম থেকেই এসব শিশুরা তাদের মৌলিক অধিকার পেতে বৈষম্য এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হয়। এসব শিশুরা এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠে যা তাদের জীবনধারা, গ্রুমিং, ভাষা, আচরণ এবং রীতিনীতিকে প্রভাবিত করে, যা সমাজের দৃষ্টিকোণ অনুসারে মুলধারার সমাজ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। সামাজিক বৈষম্যেও কারণে এ সকল শিশুদের সঠিক মনো-সামাজিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। সেই সাথে অনুকরণীয় আদর্শে গড়ে ওঠার জন্যে উপযুক্ত পরিবেশ ও অনুপ্রেরণা যোগায় এমন ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে আসার সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হয়। তারই প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট সাইকিয়াট্রি মনোরোগবিদ্যা বিভাগ কর্তৃক কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থা (কেকেএস) পরিদর্শন, সেফ হোমের শিশু ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মতবিনিময়, মনো-সামাজিক সহায়তা, ও শিশুদের জন্য উপহার হিসেবে শিক্ষা উপকরণ প্রদান করেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোর্শেদ, চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট সাইকিয়াট্রি মনোরোগবিদ্যা বিভাগ। অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ডা. ফাতেমা তুজ জোহরা জ্যোতি, সাইকিয়াট্রিস্ট, ডা. দেবদুলাল রায়, রেসিডেন্ট (ফেইজ-বি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, ডা. মো. সোলায়মান হোসেন, রেসিডেন্ট (ফেইজ-বি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, ডা. এ.এইচ.এম. মোস্তফা কামাল, রেসিডেন্ট (ফেইজ-বি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সালমা বেগম, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব, উপজেলা মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটি, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী। কেকেএস সেফ হোমের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহাদৎ হোসেনসহ কেকেএস সেফ হোমের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।