সারা দেশের মত তীব্র তাপদাহে রাজবাড়ীতে নষ্ট হয়েছে ক্ষেতের সবজী। করলা, পটল, লাও, বেগুন ক্ষেত মরে যাচ্ছে। চাষীরা নানা উদ্যোগ নিলেও কোন কাজে আসছে না। ফলে বাজারে সবজীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
একটি করলা ক্ষেতে আধুনিক মালচিং পদ্ধতিতে করলার আবাদ করেছিল কৃষক। কিন্তু ফলন আসার সাথে সাথে গাছ মারা যেতে শুরু করে। ক্ষেতের অধিকাংশ গাছ মারা গিয়েছে। প্রচন্দ্র তাপদাহের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান চাষী। গাছ ভালো রাখতে নানা রকম কিটনাষক ব্যবহার করলেও গাছ আর বাঁচানো যায়নি। চাষীর দাবি এবছর সবজী আবাদে বড় লোকসান গুনতে হবে। লাউ গাছের পাতা হলুদ হয়ে পচে যাচ্ছে। ফলে লাউয়ের জালিও নষ্ট হচ্ছে। একই অবস্থা শষা, বেগুন, টমেটো, ঢেরস ক্ষেতের। তীব্্র রোদের তাপে গাছ মারা যাচ্ছে। চাষীরা বলছে নানা উদ্যোগ নিলেও কোন লাভ হচ্ছে না। এবছর চাষীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে এই তাপদাহের কারনে। সবজী ক্ষেত নষ্ট হবার প্রভাব পড়েছে উৎপাদনে। যার কারনে বাজারে প্রতিটি সবজীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে. তাপদাহের কারনে অধিকাংশ সবজী ক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে। বেশি প্রভাব পড়েছে চরাঞ্চলে।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাপদাহে রাজবাড়ীতে বাদামে প্রচন্ড প্রভাব পড়েছে। বাদামের ক্ষতির পরিমাণের উপর একটি রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তাপদাহে লাউ এবং করল্লার আকার তুলনামূলক ছোট হয়ে গেছে। যতটা বড় হওয়ার কথা তা হয়নি। তবে, কিছু সবজি আছে খড়া সহনশীল। বৃষ্টি হলে সেটা রিকভারি করতে পারে। বাংলাদেশের কৃষক হচ্ছে অদম্য মেধাবী। তারা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে বলে আশা তার।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে জেলার ৫১৬ হেক্টর জমির সবজী তাপদাহের প্রভাব পড়েছে।