বিদেশ নেওয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা হলেন গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের ভাগলপুর এলাকার মো. মনিরুজ্জামানের দুই ছেলে মো. মাজেদুজ্জামান রনি (৩৪) ও মো. মানিক (৩৮) এবং মেয়ে মাহমুদা খাতুন (২৫)।
ভুক্তভোগী শাকিল আহমেদ জানান, মাজেদুজ্জামান রনি এস্তেনিয়া প্রবাসী। তার সাথে আমার মাঝে মধ্যেই মোবাইল ফোনে কথা হতো। সে আমাকে বৈধ ভিসায় ৪ মাসের মধ্যে সার্বিয়ায় নেওয়ার কথা বললে তার সাথে আমার ৮ লক্ষ টাকা চুক্তি হয়। এছাড়াও বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে রনির বোন মাহমুদা খাতুন ও ভাই মানিকের সাথেও আমার কথা হয়। চুক্তি অনুযায়ী আমি রনির বোনের উপজেলা কমপ্লেক্স শাখার একাউন্ট নাম্বারে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ও তার ভাইয়ের বিকাশ নাম্বারে ২০ হাজার টাকা প্রদান করি। টাকা নেওয়ার পরে ৪ মাস অতিবাহিত হলেও তারা আমাকে আজ কাল বলে ঘোরাতে থাকে। তারা আমার সাথে প্রতারণা মূলক ভাবে বিদেশে না নিয়ে আমার টাকা আত্মসাৎ করেছে। আরেক ভুক্তভোগী জাকির হোসেন জানান, মাজেদুজ্জামান রনির সাথে আমার মোবাইল ফোনে কথা বার্তা হতো। এক পর্যায়ে রনি আমাকে বৈধ ভিসায় ৪ মাসের মধ্যে সার্বিয়ায় নেওয়ার কথা বললে তার সাথে আমার ৮ লক্ষ টাকা চুক্তি হয়। এছাড়াও বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে রনির বোন মাহমুদা খাতুন ও ভাই মানিকের সাথেও আমার কথা হয়। চুক্তি অনুযায়ী আমি রনির বোনের সোনালী ব্যাংক উপজেলা কমপ্লেক্স শাখার একাউন্ট নাম্বারে ৯০ হাজার টাকা প্রদান করি। উক্ত টাকা নেওয়ার পরে তারা আমাকে আজ কাল বলে ঘোরাতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলেও তারা আমার টাকা ফেরত দেয়ান। বর্তমানে আমি তাদেরকে ফোন করলে তারা ফোন রিসিভ করে না।
অভিযুক্ত মানিক এর মুঠোফনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি। মাহমুদা খাতুন এর মুঠোফনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস জানান, অভিযোগের তদন্ত চলছে।