উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি, মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করলে আচরণ বিধি আনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সোমবার সকালে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আরো বলেন, ভোটের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। এর মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে হয়। তা না হলে নানা বিধ আইনগত সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্রশাসনিক সমস্যা হয়, রাজনৈতিক সমস্যা হয় এবং শান্তি শৃঙ্খলাও বিঘœ ঘটে। এজন্য নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই নির্বাচন শেষ করতে হয়। যখন নির্বাচনের শিডিউল দেওয়া হয় তখন তীব্র তাপদাহ ছিল না। আপনারা জানেন যে ভারতে খরা কিন্তু আমাদের থেকেও বেশি। তারা খরার মধ্যে তাদের জাতীয় নির্বাচন বন্ধ রাখেনি। আর আমরা এই প্রথম না প্রতিবছরই তাপমাত্রা বাড়ছে। ভবিষ্যতে হয়তো এটা নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। এর মধ্যেই জীবনযাত্রা চালাতে হবে। আর আমরা আমাদের বাহ্যিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তাপদাহের জন্য কোন কিছুই বন্ধ রাখিনি সেখানে নির্বাচন বন্ধ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অধিকাংশ কেন্দ্র স্থায়ী। সেখানে পাকা ভবন ও গাছপালা আছে। ভোটাররা ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে। প্রতিটা ভোটকেন্দ্রে পানির ব্যবস্থা থাকবে। আর ভোটাররা তো ভোট দিয়েই চলে যাবে ভোট কেন্দ্রে তো বসে থাকবে না। এজন্য খুব বেশি সমস্যা হবে না। ইতিমধ্যে আমরা কয়েকটি জেলায় বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই। তাপদাহে যে কোন সমস্যা হয়েছে এমন খবর পাই নাই।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ, পিপিএমসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলার সকল থানার ওসি।