গত ৫ এপ্রিল ছিল অসীম সাহসী সংগ্রামী নারী রাখী দাস পুরকায়স্থ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উজ্জ্বল নক্ষত্র রাখী দাস পুরকায়স্থ এর প্রয়াণ দিবস। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি এই মহীয়সী নারীকে। ১৯৭০ সালে তখন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পূর্ব পাকিস্তান মহিলা পরিষদ নামে প্রতিষ্ঠিত হয় তখন অনেক তরুণী নারী আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করেন। তাদের মধ্যে একজন রাখী দাস পুরকায়স্থ। তার মায়ের নাম ঊষা দাস পুরকায়স্থ। ছোট বেলায় ব্রিটিশ শাসকদের স্বৈরাচারী শাসনের কথা শুনে তার মন আন্দোলিত হয়। তিনি শুনেছেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে রাজবন্দীদের আত্মত্যাগের কথা। মাতৃভূমিক শত্রুমুক্ত করার কথা শুনতে শুনতে তিনি হয়ে ওঠেন সংগ্রামী। মুক্তিযুদ্ধকে সফল করতে নারীদের অনেক বড় ভূমিকা ছিল। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা নারীদের মধ্যে রাখী দাস পুরকায়স্থ একজন। তিনি ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্রীর রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাহায্য সংগ্রহ করেন, আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা প্রদান করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারমূলক কাজ করেন। একসময় তিনি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ঢাকা মহানগরের সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিযুক্ত হন। ১৯৯৭ সালে তিনি প্রশিক্ষণ গবেষণা পাঠাগার সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি নারী আন্দোলনকে বেগবান করতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কর্মী সংগঠকদেরকে তিনি অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং সর্বদা অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। নারী নেত্রী রাখী দাস পুরকায়স্থ আমাদের চলার পথে আলোকবর্তিকা হিসেবে থাকবেন চিরকাল।