আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে যাত্রী সাধারনের ঘরে ফেরা নির্বিঘœ করতে, ফেরি সার্ভিস, লঞ্চ সহ বিভিন্ন নৌযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল ও ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটায় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভার সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।
সভায় ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরে পাঁচদিন তিনদিন আগে ও তিন দিন পর পর্যন্ত নদী পথে দুর্ঘটনা এড়াতে মালামালবাহী নৌযান, বালুবাহী বাল্কহেড ও সড়ক পথে পন্যবাহী পরিবহন বন্ধ থাকবে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন চলাচলে ১৫ টি ফেরি, ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। পরিবহন, ফেরি ও লঞ্চে যারা কর্মরত থাকবে তাদের নির্দিষ্ট পোষাক ও পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। ঘাট হয়ে ২১ টি জেলায় ঈদ যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘœ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা ও তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। বিআইডব্লিউটিসি’র চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন সেক্টেরের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা জেলা প্রশাসক মোসাম্মৎ মোর্শেদা খাতুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ, গেয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রানবন্ধু বিশ^াস, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান, দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসি’র ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখ। সভায় দৌলতদিয়া পাটুরিয়া ঘাট সংশ্লিষ্ট সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন, লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ, সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ, পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।