রাজবাড়ীতে শাাশুড়িকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূ স্বপ্না আক্তার ও পরকীয়া প্রেমিক মো. সোহেল মিয়া যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে উভয়কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। রায়ে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ী দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র দায়রা জজ মাসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এ আদেশ দেন।
আসামী সোহেল মিয়া রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের মো. হোসেন মিয়ার ছেলে। অপর আসামী স্বপ্না আক্তার একই ইউনিয়নের পশ্চিম বারবাকপুর গ্রামের মো. হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। অভিযুক্ত আরেক আসামী মো. কবির হোসেনকে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত না হওয়ায় ১৮৬০ এর ৩০২/৩৪ ধারায় গঠিত অভিযোগের দায় থেকে খালাস প্রদান করা হয়।
মামলার এজাহারকারী বাদী তমিজ উদ্দীনের স্ত্রী হাজেরা বেগম নিজ বাড়িতে ছিলেন। গত ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট তারিখে রাত সাড়ে আটটার দিকে নিজ বসত বাড়ীর পূর্ব পাশের ঘরে ছেলের বউ স্বপ্না আক্তার ও নাতি সানিকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরেন। একই রাত সাড়ে বারোটার দিকে স্বপ্না আক্তার ডাক চিৎকার করতে থাকে।তিনি তখন ঘুম থেকে উঠে দরজা খেলা দেখতে পান। ঘরে ঢুকে আলো জ্বালিয়ে দেখেন তার স্ত্রী হাজেরা বেগমের এর গলা কাটা রক্তাক্ত জখম মৃত দেহ বিছানায় পরে আছে। তিনি তখন ডাক চিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন বাড়িতে জমায়েত হয়। তিনি ধারনা করেন তার স্ত্রীকে তার ছেলের বউ সহ এজাহারকৃত আসামীরা কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে। এ প্রেক্ষিতে এজাহারে উল্লেখিত আসামীদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করার পর তাদের সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যডভোকেট উজির আলী বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘ সাক্ষ গ্রহন শেষে আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আসামী সোহেল ও স্বপ্না বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপর এজাহার ভুক্ত আসামী কবির শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।