জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। এরপর বেলুন উড়িয়ে ও পায়রা অবমুক্ত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন রেল মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম টিটন, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান রিপন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সূবর্ণা রাণী সাহা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. মোরশেদা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জয়ন্তী রূপা রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ আহম্মেদ, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল জলিল প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতিম দাস ও রাজা সূর্য কুমার ইনস্টিটিউটের সহকারী শিক্ষক চায়না রাণী সাহা। এ সময় সহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিএনপির সময় তাদের অর্থমন্ত্রী বলতেন খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশের সাহায্য পাব না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, জাতিসংঘের উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ভালো আছি। আপনারা রাজবাড়ীর মানুষ কোনো সময় চিন্তা করেছেন ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রাজবাড়ী থেকে ঢাকার কমলাপুরের পৌঁছাতে পারবেন? কোনো সময় আপনারা চিন্তা করেননি। অনেক স্বপ্নই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আমাদের পূরণ হয়েছে। আজকে ঢাকায় মানুষ মেট্রোরেলে চড়তে পছন্দ করে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে। এই উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে।