সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপনের শুভক্ষণে রাজবাড়ী জেলার শিশুসহ সকল মানুষের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর জন্মবার্ষিকী এদেশের মানুষের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন সৎ, সাহসী, উদ্যমী ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অপরিসীম মমতা। তিনি শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও পরিচর্যার বিষয়ে সবসময় গুরুত্ব দিতেন। তিনি শিশুদের কল্যাণে সংবিধানে রাষ্ট্রের কর্তব্য সম্পর্কে বিশেষ বিধান যুক্ত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শিশুদের দেশপ্রেমিক, আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার উন্নয়ন ও সুরক্ষার বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে জাতীয় শিশু নীতি ২০১১, শিশু আইন, ২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ প্রণয়ন করেছে।
বঙ্গবন্ধু দেশের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন, দেশের মানুষের তথা শিশুদের উন্নয়নের জন্য তিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আত্মনিয়োজিত ছিলেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার প্রত্যয়ে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আজকের দিনের শিশুরাই হবে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের সারথি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ অনুসরণে এদেশের শিশুদের যথাযোগ্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সক্ষম হবো।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ এ রাজবাড়ীবাসীর সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করছি।
জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।
আবু কায়সার খান
জেলা প্রশাসক
রাজবাড়ী।