রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে আবুল হোসেন নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের কুবদীডাঙ্গী গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে ও আড়কান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তাকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বালিয়াকান্দি শেখ কামাল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবুল হোসেন জানায়, বালিয়াকান্দি শেখ কামাল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ভেন্যুতে পরীক্ষা দিয়ে বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথেই কিশোর দল তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে পাশের আতাউর রহমানের ইটভাটায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে এলোপাথারী ভাবে মারধর করে ফেলে রেখে যায়।
আবুল হোসেনের চাচা রফিক মিয়া বলেন, তার ভাতিজার মারধরের কথা শুনে তিনি এসেছেন। তবে কাউকে সে চেনে না। সবাই বয়সে কিশোর। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বালিয়াকান্দি থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন।
বহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রের থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে ধরে নিয়ে মারধর করেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে কারা মারধর করলো বের করার চেষ্টা করছি।
সম্প্রতি নারুয়া লিয়াকত আলী স্মৃতি স্কুল এন্ড কলেজের অনুষ্ঠান থেকে কলেজ ছাত্র সাগর মন্ডলকে গড়াই নদীর ঘাটে ধরে নিয়ে বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের মারুফের ছেলে আকাশ ও পলাশের নেতৃত্বে ১০-১২জন মারধর করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তারা মারধর করে ভিডিও ধারণ করাসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
কলেজ ছাত্র সাগর মন্ডলের মা রুপালী খাতুন বলেন, এদের কারণে ছেলেকে এলাকার বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখনও মারুফ, তার ছেলে আকাশ ও পলাশ নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
স্থানীয়রা জানায়, বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা নানা ধরণের অপকর্ম চালিয়ে আসছে। কিশোরদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দামী মোবাইল ও মোটরসাইকেল। এরা দলবদ্ধ ভাবে নানা ধরণের অপরাধ করে আসছে। বিষয়টি অভিভাবকরা খোঁজ না নেওয়ার কারণে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।