সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন

একুশ নিয়ে যত কথা ‘বাংরেজী বিড়ম্বনা’ – এডভোকেট লিয়াকত আলী বাবু

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৮৯ Time View

নেভার মাইন্ড ব্রাদার, আমি আবার টুয়েনটি ফাষ্ট ফেব্রুয়ারীতে কখনোই ইংরেজী ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজ করতে চাই না। এ্যাকচুয়ালি সেটা উচিৎও না। বাট আমার অনেক ফ্রেইন্ডসদের’কে দেখেছি টুয়েনটি ফাষ্ট ফেব্রুুয়ারীতেও অলওয়েজ ইংরেজী ভাষা ইউজ করে ফেলে। আমি মনে করি ‘দে আর রাবিশ এন্ড দে সুড নট হ্যাভ টু ডান দিজ’। দো’ ইঁট্স নট দেয়ার ফল্ট। বিকজ, তাদের ফেমিলি কালচারটাই হয়তো এমন।

কথা হচ্ছিল বর্তমানে ঢাকার ম্যাগা রেসিডেনশিয়াল এরিয়া বসুন্ধরাতে প্রায় দের একর জায়গা নিয়ে বসবাসকারী একজন মাল্টি মিলিওনারের সাথে। বসুন্ধরাতে বিশাল আলীশান বাড়ী। বাড়ীতো নয় যেন হালের ‘হট-প্যালেস’। ওহ নো স্যরি, যাকে বলে বাংলার রাজপ্রসাদ। গ্যারেজ ভরা দামী দামী গাড়ী। চাকর বাকর পাইক, পেয়দা বরকন্দাজ, বড় বড় গোঁফ ওয়ালা সব দারোয়ান, সে এক এলাহী কারবার।

স্যার’কে জিজ্ঞাসা করলাম ওনার গ্রামের বাড়ী কোথায় ? স্যার প্রতিউত্তরে বলে¬ন শুনেছি কুমিল্লাতে ছিল। তবে মাই ব্যাড লাক, হাজারও ব্যাস্ততার কারনে এখনো গ্রামের বাড়ী ভিজিট করা হয়ে উঠেনি আমার। বাট নাও আই হ্যাব টেকেন এ ষ্ট্রং ডিসিশন টু ভিজিট মাই ভিলেজ দিজ ইয়ার। রিয়েলি ব্রাদার,গ্রামের কথা মনে পরলেই না আমার সেখানে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে। এ্যকচুয়েলী হাউ নাইচ ন্যাচারাল ছিনারীজ ইন দ্যা ভিলেজ। টিভি’তে গ্রামের ন্যাচারাল সিন সিনারী দেখেছিতো তাই গ্রামের যাওয়ার জন্য মনটা বড়ই কাঁদে। রিয়েলি ভেরী এ্যাট্রাক্টটিভ এন্ড রোমান্টিক সিনারিজ ইন দ্যা ভিলেজ। তাহলে বাড়ীতে যান না কেন স্যার ? ভেরী বিজি ব্রদার, সো মাচ বিজি। একদম সময় করে উঠতে পারি না। জানেনইতো ব্রাদার ‘টাইম এন্ড টাইড ডাজ নট ওয়েট ফর নান’। সময় এবং নদীর স্রোত কারোর জন্যই অপেক্ষা করে না।

ঠিকই বলেছেন স্যার। স্যার আপনার বাবা কি গ্রামে থাকতেন ? ইয়েস, ফাষ্ট লাইফে উনি গ্রামেই থাকতেন। তবে সেভেনটি ওয়ানের পর ঢাকাতে চলে আসেন। এরপর আর গ্রামে ফিরে যাওয়ার সময় পাননি তিনি। এক কথায় একদম সময় হয়ে উঠেনি। ব্যবসা বানিজ্য, মিল ফ্যাক্টরী নিয়ে এমন ভাবে এঙ্গেজ হয়ে পরেছিলেন যে আর ফিরে তাকানোর কোন টাইমই করে উঠতে পারেন নাই তিনি। তবে গ্রামে আমাদের অন্যান্য রিলেসন্সরা এখনো আছে। তারা মাঝে মধ্যে ঢাকায় ট্যুরে আসে। আমাদের বাসাতেই এসে উঠে। আমরা তাদের যথার্থই আদর যতœ করি ‘দ্যাট মিনস এন্টারটেইন করি’। হাজার হোক তারা আমাদের রিলেশন্সতো নাকি বলেন ব্রাদার ? ও তাই স্যার ? তা’হলে আসেন স্যার এবার আমরা একুশে ফেব্রুয়ারীতে আপনাদের গ্রামের বাড়ী থেকে একটু ঘুরে আসি। খুব ভাল হবে না স্যার ?

কথাটা শুনে হঠাৎ স্যারের মুখটা একটু ফ্যাকাসে বর্নের হয়ে গেল। স্যার কিছুটা ইতস্তত হয়ে বললেন -নো,ওহ্ স্যরি ব্রাদার, টুয়েনটি ফাষ্ট ফেব্রুয়ারী’র নাইটে আমাকে একটু সিঙ্গাপুরে যেতে হচ্ছে। আরজেন্ট কিছু মেটার আছেতো। আর তা ছাড়া ফেব্রুয়ারী টুয়েনটি বলে একটা কথা আছে না ? একেবারে রেডি হয়ে থাকতে হবে। জাষ্ট রাত বারোটা এক মিনিট। শহীদ মিনার-এ ফ্লাওয়ার সেলিব্রেশনে জয়েন করতে হবে না ? জাষ্ট বেয়ার অব মাইন্ড ব্রাদার, নাও ইঁটস দ্যা ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। একটু বুঝে শুনে এগুতে হবে না ? আচ্ছা স্যার শুনেছি আপনার বাবা নাকি মুসলিম লীগের তুখোর একজন নেতা ছিলেন ? আবার তিনি নাকি একাত্তর সালে আপনাদের ইউনিয়নে পিচ কমিটির চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন ?

স্যার কিছুটা বিব্রত হলেও নিজেকে সহসা সামলে নিয়ে বলে¬ন এ্যাক্জাক্টলি ব্রাদার, ঠিকই বলেছেন। পাকিস্তান আমলে এ দেশে যারা যারা খানদানী পরিবারের লোক ছিলেন তারাইতো মুসলিম লীগ করতেন। আর পিচ কমিটির কথা বলছেনতো ? কেন সমস্যা কিসের ? পিচ কমিটি মানেতো শান্তি কমিটি। আমার বাবাতো কখনোই কোন আশান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হন নাই এবং কখনো কোন অশান্তি আই মিন কোন স্যোসাল ডিসটার্ব ক্রিয়েট করেন নাই। নট ওনলি দিজ ব্রাদার। বেসিক রেয়েলিটি কী জানেন ? আমার বাবা কোন দিন কোন অশান্তি সাপোর্টও করেন নাই। প্রাকটিক্যালি আমার বাবা কোন দিন অশান্তি পছন্দও করতেন না। এ্যাকচুয়ালি হি ওয়াজ এ পিচফুল এন্ড ভেরী ফেয়ার ম্যান।

আচ্ছা স্যার যদি কিছু মনে না করেন তা’হলে আর একটা প্রশ্ন করি ?

ওহ্ শিওর ম্যান, ইউ মে আক্সট এ্যানি মোর কোয়াশ্চেন টু মি উইদআউট এ্যানি হেজিটেশন। স্যার আপনার বাবা নাকি একাত্তর সালে হঠাৎ করেই অনেক টাকা পয়সা এবং অনেক ধন দৌলতের মালিক হয়েছিলেন ?

স্যার আবারও কিছুটা হোঁচট খেয়ে চম্কে উঠলেন। কিন্তু বেআক্কেলদের মত চান্দি গরম করলেন না। তিনি স্বাভাবিক সুরেই বললে¬ন, ওহ্ আই মিন, আপনি কি গোন্ডগোলের বছরের কথা বলছেন ? গোন্ডগোলের বছর না স্যার, যুদ্ধের বছরের কথা বলছিলাম। আরে ব্রাদার ঐ একই কথা হলো। ইয়েস, ইউ আর রাইট। আপনি ঠিকই বলেছেন ব্রাদার। যুদ্ধের বছরে আমার বাবা তার ভাগে কিছু গনিমতের মাল পেয়েছিলেন। জাষ্ট মাইন্ড ইট ! দ্যাট ওয়াজ নট ইলিগ্যাল গুডস। গনিমতের মাল মানেই পিউরলি লিগ্যাল গুডস। ঐ যুদ্ধের সময়কার ছহি এবং হক-হালালি ও ন্যায় নিয়ামতী গনিমতের মাল দিয়েইতো আমার বাবা ঢাকাতে এসে ছহি ভাবে ব্যবসা-বনিজ্য শুরু করেছিলেন। দ্যাট মিনস রিয়েল বিজিনেস। বুঝে নিবেন ব্রাদার, সৎভাবে লাইফ লিড করলে মানুষের কোন দিনও পতন হয় না। এই যে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর গুলশান, বনানী, উত্তরা, বসুন্ধরার মত এরিয়া গুলোতে যে সকল মাল্টি মিলিওনারদের দেখছেন না ? মনে রাখবেন ব্রাদার, এদের অধিকাংশই মা’শাল্ল¬¬¬াহ যুদ্ধের বছরের আই মিন রেবুলেশন ওয়ার থেকে পাওয়া গনিমতের মালের পাহাড়ের উপরে বসেই পিসফুলি ডুগডুগি বাজাচ্ছে। প্রাকটিক্যালি আপনেরা ম্যাথমেটিক্সেও দেখছি খুবই কাঁচা। জাষ্ট বিলিভ ইট অর নট, মাত্র পঞ্চাশ বছর দ্যাট মিনস্ ওনলি উইদিন ফিফটি ইয়ার’স। ওরা কি ভাবে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ এবং কলাগাছ ফুলে বট গাছ আই মিন বিশাল বেনিয়ন ট্রিতে রূপান্তরিত হয়ে গেল। কী মনে করছেন ব্রাদার ? ভাবছেন মিথ্যা কথা বলছি ? কেন চারিদিকে কী কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না ? ঐ সকল লাকী গোল্ড মিলিওনারদের বয়সের সাথে কি সম্পদের কোন হিসাব মিলাতে পারবেন ব্রাদার ? জাষ্ট মাইন্ড ইট, ওরা কখনোই কোন ঝুট ঝামেলার মধ্যে আই মিন ট্রাবলসের মধ্যে যেতে চায় না। এমন কি ওরা কখনো নিজেরা পলিটিক্সও করে না। ওরা সুকৌশলে পলিটিক্স করায়। শুধুই কী তাই ? সময় সুযোগ পেলে ওরা দেশের পলিটিক্সটা একটু আধটু নাড়া চাড়া করে দিয়ে নিজেদের বিজিনেসের ওয়ে খুঁজে নেয়। তাতে তাদের ব্যবসা মিনস বিজিনেসটাও ভাল হয়। জাষ্ট বিলিভ ইট অর নট, উপর তলা’র সাহেবদের বাসায় গিয়ে একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন বাংলা ব্যবহারের তাচ্ছিল্যটা কত কদর্য। স্যরি ব্রাদার এক দিনে এত কিছু বুঝতে যাবেন না কিন্তু। কঠিন ট্রাবলসের মধ্যে পরে যাবেন। জাষ্ট পিচফুলি ওয়েট এন্ড সি। সো দ্যাট, কথা খুবই কম বলবেন। অলওয়েজ শুনবেন বেশী।

আচ্ছা স্যার এই যে এতক্ষন ধরে বাংলা ইংরেজী মিশিয়ে কথা বলছেন, এটা কি ঠিক ?

হোয়াই নট ম্যান ? হোয়াটস হেলস ইউ আর টকিং ? বাংলা ভাষার রক্ষনাগারের নামের সাথেইতো একাডেমি নামক ইংরেজী শব্দটা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন আপনারা। নাম রেখেছেন ‘বাংলা একাডেমি’। একাডেমির বাংলা প্রতিশব্দ ব্যবহার করলে সমস্যাটা কি ছিল ? যদিও ইদানিং একাডেমি’র নতুন বাংলা সংস্করন করা হয়েছে ‘আকাদেমী’। তাহলে ‘বাংলা আকাদেমী’ বলেন। বাংলা একাডেমি বলছেন কেন ? ঢাকা ষ্টেডিয়াম শব্দটা বাংলা না ইংরেজী তা এখনো বুঝে উঠতে পারি নাই। বাংলাদেশ শব্দটা বাংলাতে থাকলেও ‘টেলিভিশন’ শব্দটা নিশ্চই বাংলা শব্দ না ? আমরা বলি ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন’। ‘হোটেল সোনার গাঁ’ এখানেও ইংরেজীর সাথে বাংলার ব্যাঞ্জন সন্ধি। শোনো ব্রাদার, এবার সবচাইতে বড় সমস্যায় পরেছিলাম এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট আউট হওয়ার পর।

কেন স্যার কি সমস্যা হয়েছিল ? স্যার বললে¬ন আমার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-ফাইভ পাওয়ার পর গ্রামের এক আত্মীয় বললে¬ন জিপিএ-ফাইভ বিষয়টা কি স্যার ? বিষয়টা একটু বাংলায় বুঝাইয়া কওন যায় না স্যার ? জি,পি,এ-ফাইব বাংলায় কি ভাবে বোঝায়ে বলব তা আমিও বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ভাল বাংলা যে জানি না তা কিন্তু না। কিন্তু ‘পিএসসি’ ‘জেএসসি’ ‘এসএসসি’ ‘আইএ’ আইএসসি’ বিএ, বিএসসি এমএ এমএসসি এ সকল শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ কি নাই ? ফুটবল ক্রিকেট, টিকেট, পকেট, লকেট, সকেট, বাকেট, রকেট এমন হাজারও সব শব্দ আছে যার কোন বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজে পাওয়া খুবই দুস্কর। এর আগে অবশ্য ‘কোরবান আলী’ নামের জনৈক ভদ্র লোককে পরিপূর্ণ বাংলায় তার নাম লিখতে বলা হলে সে লিখেছিল ‘বলি নারায়ন’। একই ভাবে ‘মহব্বত জান চৌধুরীর’ নাম খাঁটি বাংলায় ভাষান্তর করা হয়েছিল ‘পিরিত পরান চৌধুরী’ হিসাবে এবং আঃ হাই’কে বাংলায় উঁচু মিয়া নামে অবিহিত করা হয়েছিল। এক কথায় খাঁটি বাংলা শব্দ ইউজ করে স্যরি আই মিন ব্যবহার করে কথা বলা খুবই ক্রিটিক্যাল মেটার ব্রাদার। আরেক কথায় বলতে গেলে আমাদের একেবারে হানড্রেড পারসেন্ট বাংলা শব্দ ব্যবহার করে কথা বলা প্রায় অসম্ভব ব্যাপারই বটে। কথা বলতে গেলেই তো ইংরেজীর সাথে বাংলা মিশে ‘বাংরেজী’ ভাষার মত এক জগাখিচুরী মার্কা ভাষার উৎপত্তি হয়ে যায়। আবার আমরা ইংরেজী শব্দ গুলো এমন করে রপ্ত করে ফেলেছি যে বাংলাটা বললেই অনেক সময় ঝামেলায় পরে যেতে হয়। ঢাকা ইউনিভার্সিটি যত লোকে চেনে তার অর্ধেক লোকও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’কে চিনতে চায় না। আর চেয়ার’কে কেদারা, গেইট’কে ‘তোরণ’, ট্রাঙ্ক বা স্যুটকেছকে ‘তোরঙ্গ’ রেলগাড়ীকে ‘শকট’ এসব বাংলা শব্দ ব্যবহার করলে অধিকাংশ বাঙালীই অথর্বের মত তোমার দিকে তাকিয়ে থাকবে। বলবে এ আবার কেমন বাংলা ভাষারে বাবা।

শোন বাবা আমরা কিছু কিছু বিদেশী শব্দ বা শব্দ গুচ্ছ শুনতে শুনতে ঐ শব্দটাকে বা শব্দ গুচ্ছ গুলোকে বাংলা শব্দ মনে করেই তা যত্র তত্র ব্যবহার দ্যাট মিনস ইউজ করে থাকি।

এ ব্যাপারে একটা মজার গল্প শোন। এক ভদ্রলোক সৌদি আরবে গিয়েছিল চাকুরী করার জন্য। বেশ কয়েক বছর চাকুরী করে বাংলাদেশে ফিরে আসে। ফিরে আসার পর সকল বন্ধু বান্ধব এবং আত্বীয় স্বজন ঘিরে ধরে জানতে চাইলো ঐ দেশে অর্থাৎ সৌদি আরবে বাংলা ভাষার কোন ব্যবহার আছে কি না। সৗদি ফেরত ঐ ভদ্রলোক বললো আরে ভাই ঐ দেশে বাংলা ভাষার লেশ মাত্র নাই। সব খানেই ঝাড়াঝাড় আরবী ভাষা ব্যবহার করা হয়। তবে এ কথা ঠিক যে ঐ দেশে আজানটা অবশ্য বাংলায় দেয়।

এবার বুঝেছতো হে ইয়াং ম্যান ? বাংলা ভাষার বোধদয় কেমন ? জাষ্ট আন্ডার ষ্ট্যান্ড আওয়ার রিয়েল রিয়েলাইজেশন ব্রাদার। তবে ব্রাদার এ কথাও ঠিক যে এই মর্ডান যুগে শুধু বাংলা ভাষা ব্যাবহার করে কথা বললে কি চলে ?

শুধু বাংলা ভাষা ইউজ করে কথা বললে¬ মর্ডান সোসাইটিতে ষ্ট্যাটাস্ বলে আর কিছুই থাকে না ব্রাদার। জাষ্ট মাইন্ড ইট ব্রাদার। জাষ্ট মাইন্ড ইট। টাইম থাকলে আরও ইনডিটেইলস বুঝিয়ে বলতে পারতাম। দেখছেন না ‘আওয়ামী লীগ’ ‘বিএনপি’ ‘কমিউনিষ্ট পার্টি’ ‘জেএসডি’ ‘জামায়েতি ইসলাম’ ‘নেজামে ইসলাম পার্টি’ ‘ডেমোক্রেটিভ লীগ’ ‘ইউনাইটেড পিপলস লীগ’ এ সব রাজনৈতিক দলের নাম কী বাংলা শব্দে ব্যবহৃত হচ্ছে ? বাংলা শব্দ ব্যবহার করে নাম রাখা হয়েছে এমন একটা দল খুঁছে পাওয়াইতো দুস্কর। ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ ‘শহীদ মিনার’ ‘শ্লোগান’ এ গুলোও কী বাংলা শব্দ ? এ গুলো একটাও বাংলা শব্দ না। আরও কথা আছে ব্রাদার আরও আছে। ১৯৫২ সালে আমাদের দেশের অকুতোভয় ভাষা সৈনিকেরা বাংলা ভাষার জন্য সরাসরি বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল। ১৯৫২ সালে এ প্রদেশের নাম ছিল ‘পূর্ব বাংলা’। কিন্তু ১৯৫৭ সালে যখন এ প্রদেশের নাম ‘পূর্ব বাংলা’ কেটে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নাম রাখা হলো তখন কিন্তু কোন নেতাই প্রতিবাদ করলো না। কেন সেদিন ‘পূর্ব বাংলা’ কেটে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নাম করনে কেউ প্রতিবাদ করলো না ? ডিপলী ভেবে দেখবেন ব্রাদার গভীরে গলদ ছিল। বুঝতে হবে এ দেশে এখনো ‘ইয়েস কার্ড’ দেওয়া হয়। বলুনতো দেখি ‘ইয়েস কার্ডের’ বাংলা কী ? তার পরেও ‘সর্বস্তরে বাংলা চালু কর’ এমন একটি আদেশ পত্রের উপর লেখা হয়েছিল ‘স্পেসিয়াল মেসেজ ফর অল কনসার্ন। কী বলেন ব্রাদার ? অ্যাম আই কারেক্ট ? ডোন্ট মাইন্ড ব্রাদার ডোন্ট মাইন্ড। তাই বলে কিন্তু বাংলাকে ভুলে গেলে চলবে না। রিমেম্বর ইট,আফটার অল বাংলাতো আমাদের মাদার ল্যাগুয়েজ বটেই, নাকি বলেন ব্রাদার? সি মোর এগেইন। থ্যাঙ্ক ইউ ভেরী মাচ ব্রাদার, থ্যাঙ্ক ইউ ভেরী মাচ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com