রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে মায়েদের সাথে বসবাস করছে কয়েকশ কন্যা শিশু। এ সকল কন্যা শিশুদের নিরাপদ আবাসনের বিষয় নিয়ে বুধবার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে অ্যডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বেসরকারী সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতি(এমএমএস) এর আয়োজনে আলো প্রোগ্রামের আওতায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন(এমজেএফ) এবং গ্লোবাল এ্যাফের্য়াস কানাডার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় এ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তি মহিলা সমিতির সভানেত্রী শেফালী বেগম।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রুহুল আমিন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা বেগম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান তোফায়েল হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ইকবাল হোসেন, এমএমএসের নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য চম্পা বেগম , দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক শামকম শেখ, এমএমএসের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর আতাউর রহমান মঞ্জু, এমএমএস আলো প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর আঁখি আক্তার প্রমূখ।
সভায় মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম বলেন, শিশু আইন ২০১৩ এর ৭৭ নং ধারা অনুযায়ী ৪ বছরের অধিক বয়সী কোন শিশু যৌনপল্লীর ভিতরে অবস্হান করতে পারবে না। কিন্তু এ পল্লীর ৩ শতাধিক এ ধরনের বয়সী শিশু ঝুকিপূর্ণ ভাবে তাদের মায়েদের সাথে পল্লীর ভিতরে দিনরাত বসবাস করে। এতে তাদের সহজেই যৌন হয়রানী,যৌন পেশায় নাম লেখানো, মাদকাসক্ত হয়ে পড়াসহ নানাবিধ খারাপ বিষয়ের সাথে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে আমরা বিভিন্ন দাতা সংস্থার সহায়তায় ডে কেয়ার ও নাইট কেয়ার নামক দুটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে অর্ধ শতাধিক শিশুকে তুলনামূলক নিরাপদ আবাসনের ব্যাবস্হা করতে পেরেছি। কিন্তু এটা সাময়িক। দাতাদের সাহায্য নির্ভর ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। তাই এ বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব নেয়া দরকার।