মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ৪ ধাপে পাংশা পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৫৫০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে। এর মধ্যে ৪র্থ বারে ১২০ গৃহ-হীনদের মধ্যে তাদের ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘর পেয়ে আগামীর স্বপ্ন বুনছেন তারা।
জানা গেছে, ইতিমধ্যেই পাংশা উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পাংশা উপজেলার শরিসা ইউনিয়নে এ ঘর সব চেয়ে বেশী নির্মাণ করা হয়েছে, এ সকল ঘর নির্মাণে কোন অনিয়ম লক্ষ্য করা যায়নি। তৎকালীন পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আলীর প্রত্যক্ষ তত্বাবধায়নে মনিটরিং এর মাধ্যমে সুন্দর ভাবে এ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সম্প্রতি একটি কুচক্রি মহল সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিষয় নিয়ে অপপ্রচার চলাচ্ছে। তবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বলেন, আমাদের সাথে কোন কথা না বলে কেউ কেউ মনগড়া কথা তুলে ধরেছে। মতিয়ার রহমান, পিতা মকবুল শেখ বলেন, আমি গরীর মানুষ ৩০ হাজার টাকা দিতে পারলে কি আমি এ সরকারি ঘর নিতে আসতাম, আমি ঘর পেতে আমার কোন টাকা লাগেনি। একই কথা বলেন কুঠি মালিয়াট গ্রামের তাইজুল শেখের ছেলে সামসুদ্দিন শেখ তিনি বলেন, আমার এ ঘর নিতে কোন টাকা লাগেনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এ ঘর দিয়েছেন আমরা তার প্রতিকৃতজ্ঞ।
ভূমি কর্মকর্তা রেজওয়ান বলেন, আমাকে হেয় করার লক্ষ্য নিয়ে একটি মহল এ কাজ করছে যা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। আমরা সরকারের এ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দিন রাত কাজ করেছি, আমাদের ওই ঘর গুলো প্রায় দেড় বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শরিসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও শরিসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমল আল বাহার বিশ্বাস বলেন, আমার ইউনিয়নের সব থেকে বেশী ঘর নির্মান করা হয়েছে, আমার ইউনিয়নের কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি ঘর নিয়ে। কোন ব্যাক্তি আমাকে বলেনি যে ঘর পেতে আমার টাকা দিতে হয়েছে এমন কোন কিছু আমার জানা নেই, যারা এ হীন কাজ করছে তারা সরকারের উন্নয়নকে হিংসা করে বলেই শতভাগ কাজ শেষ হওয়ার পরে এরূপ মিথ্যা রটনা করছে। আমি তাদের প্রতি নিন্দা জানাচ্ছি।
কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ বলেন, আমার ইউনিয়নে যে ঘর গুলো নির্মান করা হয়েছে তা সুন্দর ভাবে সম্পূন্য হয়েছে এ নিয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই, যারা ভূমিহীন না এমন দুই একজন ব্যাক্তি ঘর পাওয়ার প্রত্যাশা করে না পেয়ে তারা বিভিন্ন ভাবে উল্টা পাল্টা বলার চেষ্টা করেছে যা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার ইউনিয়নের কুঠি মালিয়াটে কেউ টাকা দিয়ে ঘর নিয়েছে এমন বিষয় আমার জানা নেই।
পাংশা উপজেলার শরিসা ইউনিয়নে ২২৮টি, কসবামাজাইল ইউনিয়নে ৪৯টি, মৌরাট ইউনিয়নে ৪২টি, হাবাসপুর ইউনিয়নে ৪২টি, বাহাদুপুরপুর ১৫টি, মাছপাড়া ০৮টি, বাবুপাড়া ১০টি, কলিমহর ৪৯টি, যশাই ১২টি ও পাংশা পৌর সভায় ১০২টি সর্ব মোট ৫৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে ভূমিহীনদের জন্য। এ ঘর পেয়ে সকলেই প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেন।