বাঙালির নিজস্ব সাংস্কৃতিক জগতের অনেক কিছু হারিয়ে যেতে বসলেও মঞ্চ নাটকের প্রতি মানুষের এখনো রয়েছে দুর্বার আকর্ষণ। তা আরেকবার প্রমাণ পাওয়া গেল গোয়ালন্দের নাট্য উৎসবে।
৪ মার্চ শনিবার রাত ৯ টায় শুরু হওয়া এ নাট্যোৎসবের প্রথমদিন বাবু রঞ্জন দেবনাথ রচিত সামাজিক নাটক ‘চরিত্রহীন’ দেখতে দর্শকদের ঢল নামে। মুগ্ধ হয়ে ফেরেন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চমৎকার অভিনয় দেখে। উৎসবের দ্বিতীয় দিন রবিবার মঞ্চায়িত হবে একই নাট্যকারের নাটক ‘অনুসন্ধান’। সোমবার সমাপনী দিনে মঞ্চস্থ হবে ভৈরব দেবনাথ রচিত ঐতিহাসিক নাটক ‘নাচ মহল’।
গোয়ালন্দ নাট্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে পৌরসভার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ফকীর মহিউদ্দিন আনসার ক্লাব চত্বরে এ জমকালো উৎসব চলছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল। উৎসবের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী বলেন, সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক চর্চার অভাবে আমাদের যুব সমাজসহ গোটা সমাজ ব্যবস্থাই বর্তমানে অপসংস্কৃতির প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। যা খুবই আশংকার কথা। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। যুবকরা মাদক ও হতাশায় নিমজ্জিত হবে। এ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়াতে হবে। এ ধরনের ভালো ভালো নাটক মাঝে মধ্যেই মঞ্চস্থ করতে হবে। আমি নাট্য উৎসবের আয়োজকদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গোয়ালন্দ সম্মিলিত নাট্যদলের সভাপতি মো. ইসলাম মোল্লার নির্দেশনা ও পরিচালনায় নাটক তিনটিতে অভিনয় করেছেন রফিকুল ইসলাম, এরশাদ হোসেন সবুজ, সাধন কুমার সাহা, দিলিপ কুমার সাহা, আজিজ মন্ডল, রফিকুল ইসলাম জুনা, রঞ্জন কুমার রাহা, প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, অপূর্ব সাহা দ্বিজেন, আবু সাইদ কুটি মনি, জীবন চক্রবর্তী, বাদল বিশ্বাস, মুরাদ আল রেজা, রফিকুল ইসলাম সালু, আব্দুল খালেক খান, সাইফুর রহমান পারভেজ, কাজী মনির, শফিক মন্ডল, সুজিত কুমার দাস, অর্ক সাহা (শিশু শিল্পী) ও ইসলাম মোল্লা। নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন তমা রাণী, লক্ষ্মী রানী, সাবিত্রী, গায়িকা ও নায়িকা বণশ্রী এবং স্মারকে হরেন্দ্র নাথ মন্ডল।