রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পৃথক দুুটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি খামারের ৬ হাজার মুরগী ও গোয়ালের ৪টি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার দৌলতদিয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ছমির মৃধার পাড়ায় আব্দুর রহিম মীরের খামারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খামারি আব্দুর রহিম মীর জানান, অতিরিক্ত শীতের কারণে লেয়ার মুরগির খামারে তাপ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রকারের বৈদ্যুতিক লাইট ব্যবহার করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। ভোর রাতে পাশের গ্রামের মো. মুজাই শেখ নামে এক ব্যক্তি বাইরে বের হয়ে খামারে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার দেন। এসময় এলাকাবাসী বের হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খামারে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার লেয়ার মুরগি ছিল। আগুনে পুড়ে সব মারা গেছে। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। খামারে মুরগির বাচ্চার তাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ধানের তুষ ব্যবহার করা হয়। তুষের কারণে আগুন অল্প সময়ের মধ্যে পুরো খামারে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে গত মঙ্গলবার গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদু খান পাড়া গ্রামে আসলাম শেখ নামে এক খামারির গোয়াল ঘরে আগুন লেগে চারটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
খামারি আসলাম শেখ জানান, গরুগুলোকে গোয়াল ঘরে রেখে দরজায় তালা মেরে রাখা হয়। ভোর রাতে গরুর গোঙানির শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখেন গোয়ালে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এসময় চিৎকার করলে আশপাশের বাড়ি থেকে মানুষ এগিয়ে এসে পানি ও বালু দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু কোনোভাবেই ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারায় গোয়াল ঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আগুনে পুড়ে মারা যায় তিনটি গাভী ও একটি বাছুর। উজানচর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. চুন্নু মীর মালত বলেন, আগুনে আসলাম শেখের চারটি গরু পুড়ে মারা গেছে। এতে তার ৩ লাখ টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।