গান, কবিতা ও কথায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে রাজবাড়ী নাট্যনন্দন। বৃহস্পতিবার রাত দশটায় নাট্যনন্দনের আয়োজনে ভাচুয়ালি ‘রবিনন্দন’ উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসার সাহিত্য ও দর্শন নিয়ে কথা বলেন কবি ও নাট্যকার অপু মেহেদী, সম্পাদক প্রশিক্ষণ, আরণ্যক নাট্যদল ঢাকা। রবীন্দ্র সংগীতের কথা ও সুর বিষয়ে আলোচনা করেন দোলন চাঁপা সংগীত অঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক শ্যামা রানী দে।
অপু মেহেদী তার বক্তব্যে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য দর্শন মানবতাবাদ, বিশ্বপ্রেম ও আত্মঅন্বেষণে উদ্ভাসিত। তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষের অন্তরাত্মা ও প্রকৃতির মিলনেই সত্য ও সৌন্দর্যের সন্ধান মেলে। তাঁর কবিতা, গান ও গদ্যে জাগ্রত হয় চেতনার আলো। আত্মনির্ভরতা ও বিশ্বজনীনতাকে তিনি সাহিত্যের মূল ভিত্তি হিসেবে স্থাপন করেন। রবীন্দ্র সাহিত্য আজও মানবমুক্তির পথ দেখায়। আঁতুড়ঘর থেকে কবরস্থান পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ জুড়ে আছে।
শ্যামা রানী দে বলেন, রবীন্দ্রনাথের গানের দর্শন আত্মা, প্রেম, প্রকৃতি ও ঈশ্বরের মাঝে এক অন্তরঙ্গ সংলাপ। তাঁর গানে জীবনের রূপ ও রসকে দার্শনিক ব্যাখ্যা দিয়ে সুরে রূপান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর প্রতিটি সুর নান্দনিক সৌন্দর্যে নিপুণ। রাগসঙ্গীতের মাধুর্য ও পাশ্চাত্য সুরের সহজতা তাঁর গানে একত্রে মিলেছে। এই অনন্য নৈপুণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীতকে করেছে কালজয়ী। তাই মানুষ রবীন্দ্রসঙ্গীতের সাথে নিজেকে মিলিয়ে ফেলতে পারে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গান পরিবেশন করেন অনন্যা প্রামানিক পূজা ও অর্পিতা সাহা। কবিতা আবৃত্তিতে অবন্তিকা দাস। সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য উচ্ছ্বাস কুমার ঘোষ স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সভাপতিত্ব করেন নাট্যনন্দনের পরিচালনা প্রধান বাবু তপন কুমার দে। অনুষ্ঠানের সার্বিক কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করেন তন্ময় দে, নয়ন কুমার বিশ্বাস আতাহার আলী সুমন ও নাজমুল হাসান জিহাদ।