রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মিজ সুলতানা আক্তার বলেছেন, ছেলে হোক আর মেয়ে হোক, পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হবে। মঙ্গলবার গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কেকেএস শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর মায়েদের উদ্দেশ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি কথাগুলো বলেন।
দৌলতদিয়ায় সেভ দ্য চিলড্রেনের সহযোগিতায় কেকেএস ইভিসিইভি প্রকল্পের আওতায় যৌনপল্লীসহ আশেপাশের সাড়ে ৭’শ শিক্ষার্থী সুবিধা ভোগ করে আসছে। প্রকল্পটি গত বছরের ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যায়। বিগত জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা সেভ দ্য চিলড্রেন ও সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে প্রকল্পটি ৩ মাস বৃদ্ধি করেন। ইতিমধ্যে ৩ মাসের মধ্যে ১ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। মার্চ মাসেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। এমতাবস্থায় নবাগত ডিসি প্রকল্পটির বাস্তবতা শুনে বলেন, আপনারা চিন্তা করবেন না। আমি রাজবাড়ীতে আসার পরেই আপনাদের বিষয়ে তথ্য পেয়েছি। ইতিমধ্যেই আমি বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আপনাদের কথাগুলো শুনে খুবই খারাপ লাগছে তবে একটা দিক দিয়ে আমি খুবই আনন্দিত যে, আপনার সন্তানদের মধ্য থেকে অনেকেই শিক্ষকতাসহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত আছে। আপনাদের কান্না করার কথা নয়, আপনাদের আনন্দিত হওয়ার কথা। আপনারা আপনাদের সন্তানদের জন্য দোয়া করবেন। স্থানীয় এনজিওদের পাশাপাশি আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। ৩ মাস পরেও আপনাদের সন্তানদের পড়ালেখা চলে সে ব্যাপারে আমি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর যোগাযোগ করবো।
দৌলতদিয়া পূর্ব পাড়া সুবিধাবঞ্চিত নারী ও এনজিও কর্মীদের মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, কেকেএস নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, সেভ দ্য চিলড্রেন ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম খান সেলিম, দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জুলফিকার আলী, পায়াক্ট বাংলাদেশ সংস্থার ম্যানেজার মো. মজিবুর রহমান খান জুয়েল, মুক্তি মহিলা সমিতির ইভিসিইভি প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, কেকেএস প্রকল্প কোর্ডিনেটর রুমা খাতুন, অভিভাবক কুমলী বেগম, শাহানাজ পরাভীন প্রমুখ।