রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় মামলাধীন জমি থেকে ১৩টি মেহেগনি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাংশা পৌরসভার গুধিবাড়ী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ওইদিনই পাংশা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী চিত্তরঞ্জন গুহ।
অভিযুক্তরা হলেন উত্তম কুমার কুন্ডু ওরফে কানু (৬০), রইচ উদ্দিন খান (৩৮), নাসির উদ্দিন খান (৩৩), চন্ডি চরণ ঘোষ (৬৭), মিন্টু ঘোষ (৩৫), ভেজাল ঘোষ (৫২), খোকন ঘোষ (৪২), মো. শাহাদত আলী (৪৫) ও বিপ্লব কুমার ঘোষ (৪৫)। তারা সকলেই পাংশা পৌরসভার গুধিবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
চিত্ত রঞ্জন কুন্ডু বলেন, এটা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। উত্তম কুমার কুন্ডু আমার চাচাতো ভাই। উত্তম কুমারের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় সব জমি বিক্রি করে গেছেন। তাদের এখানে কোনো জমি নেই। কিন্তু উত্তম কুন্ডু দাবি করে আসছে এখানে তার জমি আছে। এজন্য আমি আদালতে দেওয়ানী বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেছি। মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে। অথচ উত্তম কুন্ডু মাঝে মাঝেই এই জমি দখল করতে আসে। গত শুক্রবার সে আমিন এনে জমি দখলের চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি তাদেরকে বাধা দিলে তারা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরেরদিন সকালে রইচ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে লোকজন নিয়ে এসে আমার জমিতে থাকা ১৩টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলে। এসময় আমি তাদেরকে বাধা প্রদান করলে তারা আমাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে। পরে কোনো উপায় না পেয়ে আমি আইনের আশ্রয় নেই।
উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে একটা ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে আজ থানায় বসা হয়েছিল। দ্রুতই ঝামেলা মিটে যাবে।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে একটা ঘটনা ঘটেছে। একপক্ষ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলেছে। আজ দুই পক্ষকেই থানায় ডাকা হয়েছিল। তাদেরকে একটা সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তাদের জমিজমার ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।