গত ২১ মে তারিখে রাজবাড়ী সদর, বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে রাজবাড়ী সদরে ৩টি পদে সর্বোচ্চ ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যার মধ্যে ১১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে চলেছে। বালিয়াকান্দিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১১ প্রার্থী। তাদের মধ্যে ৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী মোট প্রদেয় ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট দনা পাওয়ায় তারা জামানত হারাবেন। গোয়ালন্দে অবশ্য জামানত হারাচ্ছেন না কোনো প্রার্থী।
রাজবাড়ী সদরে ৮ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান জামানত হারাবেন। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী খান মো. জহুরুল হক (মাইক), গণেশ মিত্র (পালকি), ইয়াছির আরাফাত রামিম (তালা), মোহন মোল্লা (টিউবওয়েল), রায়হান চৌধুরী রনি (বৈদ্যুতিক বাল্ব), রাশেদুল হক অমি (বই), শাহীন মোল্লা (উড়োজাহাজ), হরিপদ সরকার রানা (টিয়া পাখি)। নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিগত নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী আলেয়া বেগম (বৈদ্যুতিক পাখা), চম্পা খাতুন (প্রজাপতি) ও সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর আক্তার বিউটি (হাঁস)।
বালিয়াকান্দি উপজেলায় জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ(মাইক), আবুল কালাম আজাদ(টিয়া পাখি), বদিউজ্জামান মোল্লা (উড়োজাহাজ), মতিয়ার রহমান (টিউবওয়েল)। এ উপজেলায় নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কোহিনুর সেলিম (কলস) জামানত হারিয়েছেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৮ হাজার ৬৪০। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোট ৬৩ হাজার ৬১২ ভোট। ১৫ শতাংশ অনুযায়ী ৯ হাজার ৫৪২ ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল। গণেশ মিত্র ৮ হাজার ২১১, ইয়াছির আরাফাত রামিম ৭ হাজার ৩৭, খান মো. জহুরুল হক ৫ হাজার ৪০৬, মোহন মোল্লা ১ হজার ১৪৪, রায়হান চৌধুরী রনি ২ হাজার ৮৩৯, রাশেদুল হক ১ হাজার ২৮৫, শাহীন মোল্লা ৩ হাজার ৫১৩ এবং হরিপদ সরকার রানা ৬৪৫ ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোটের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৫৮৬টি। ১৫ শতাংশ অনুযায়ী দাঁড়ায় ৯ হাজার ৫৩৭ ভোট। সাবেক নারী ভাইনস চেয়ারম্যান শাহিনুর আক্তার ৮ হাজার ৯৩১ ভোট, আলেয়া বেগম হাজার ৫৫৫ ভোট, চম্পা খাতুন ৩ হাজার ৯৩২ পেয়েছেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ৮৬৯ জন। ভোট দিয়েছেন ৮৫ হাজার ৭৫৭ জন। ১৫ শতাংশ হিসেবে দাঁড়ায় ১২ হাজার ৮৬৪ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ১০ হাজার ১৯৩, একই নামে নসঅপর আবুল কালাম আজাদ ৩ হাজার ৬৯২, বদিউজ্জামান ৯ হাজার ১১১ ভোট, মতিয়ার রহমান ৩ হাজার ২৮৩ ভোট পেয়েছেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৮৫ হাজার ৬৯৭ টি। ১৫ শতাংশ হিসেবে দাঁড়ায় ১২ হাজার ৮৫৪ ভোট। কোহিনুর সেলিম ৭ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদা খাতুন জানান, নির্বাচন বিধি অনুসারে গেজেট প্রকাশের পর যেসব প্রার্থী কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশের কম পাবেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।