দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে আজ রাজবাড়ী সদর, বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ উপজেলার নির্বাচন।
তিনটি উপজেলাতেই দুজন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম নওয়াব আলী আনারস প্রতীক নিয়ে এবং রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হাসান পিয়াল দোয়াতকলম প্রতীক নিয়ে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এহসানুল হাকিম সাধন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মাঠে আছেন। সাধন রেলমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমের আপন চাচাতো ভাই। নির্বাচনকে ঘিরে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতেও আনারসের দুই সমর্থককে হাতুড়িপেটা করে মাথা ফাটানো হয়েছে। এ উপজেলায় নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে।
এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গোয়ালন্দে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তার সাথে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গোয়ালন্দ বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম খান। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান চৌধুরী। আসাদ গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার সঙ্গে তালা প্রতীক নিয়ে আছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবিএম বাতেন। বাতেন বিগত উপজেলা নির্বাচনে হরে যান। টিউবয়েল প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির পলাশ নির্বাচন করছেন। তিনি উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভিন (প্রতীক ফুটবল), সালেহা আক্তার বুলবুলি (প্রতীক হাস) ও আফরোজা রাব্বানী (কলস)। ধারণা করা হচ্ছে এ দুটি পদে ত্রিমুখী লড়াই হবে।
এ উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা একলক্ষ এক হাজার একশত তেতাল্লিশ।