রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন প্রার্থী। চার প্রার্থীর মধ্যে দুজন এইসএসসি, একজন এসসসি এবং একজন স্বশিক্ষিত। তিনজন প্রার্থী তাদের পেশা উল্লেখ করেছেন ব্যবসা আর একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। নির্বাচনী হলফনামা থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটোর শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি। নির্বাচনী হলফনামায় পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করলেও সেই উৎস থেকে আয়ের কথা উল্লেখ নেই। বার্ষিক আয় হিসেবে উল্লেখ আছে চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী ভাতা ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার নগদ টাকার পরিমাণ এক কোটি। সমপরিমাণ টাকা জমা রয়েছে ব্যাংকে। পোস্টাল সেভিংস সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৩০ লাখ টাকার। এছাড়া ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল, ১১ লাখ টাকা মূল্যের খাট, আলমিরা, সোফা ইত্যাদি রয়েছে। রয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের বন্দুক ও পিস্তল। তার স্ত্রীর ২২ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রাইভেটকার এবং উপহার হিসেবে প্রাপ্ত একশ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। স্থাবর সম্পদের ছকে উল্লেখ রয়েছে ২০ শতাংশ জমির উপর বিল্ডিং যা পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত। স্ত্রীর নামে রয়েছে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের এপার্টমেন্ট।
বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন এবার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি স্বশিক্ষিত। পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান এবং তার আয়ের উৎস এই খাত থেকে বছরে পান ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা। তার নগদ টাকার পরিমাণ ৫০ হাজার এবং ব্যাংকে আছে এক লাখ। রয়েছে একটি মোটরসাইকেল, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজ, খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল ইত্যাদি। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার কৃষি জমির পরিমাণ ৭৫ শতাংশ। এছাড়া যৌথ মালিকানাধীন জমির পরিমাণ ৫০ শতাংশ। রয়েছে ৩ লাখ টাকা মূূল্যের একটি বাড়ি।
এবিএম রোকনুজ্জামান তার নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, তার বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা ছিল। যার চারটি থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। একটি থেকে অব্যাহতি এবং একটি চলমান রয়েছে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। পেশা ঠিকাদারী। যা থেকে তার বার্ষিক আয় ২৬ লাখ ২৮ হাজার ৬৬৯ টাকা। এছাড়া হ্যাচারী ব্যবসা থেকে আয় আড়াই লাখ টাকা। তার নগদ টাকার পরিমাণ আড়াই লাখ এবং ব্যাংকে জমা দেড় লাখ। রয়েছে ১৭ লাখ টাকা দামের প্রাইভেটকার, এক ভরি ওজনের আংটি, টিভি, ফ্রিজ, খাট, আলমিরা ইত্যাদি। তার স্ত্রীর উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। কৃষি জমির পরিমাণ উল্লেখ করেছে ৯২.৪২ শতাংশ। যার দাম ২৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ৫৭.৬৩ শতাংশ অকৃষি জমির মূল্য উল্লেখ করেছেন ৩৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। রয়েছে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের একটি দোতলা মার্কেট এবং পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত এক তলা ভবন। অগ্রণী ব্যাংক ফরিদপুর শাখায় তার ঋণ আছে ২০ লাখ টাকা।
এইচএসসি পাশ মাসুদুর রহমানের পেশা ভুষিমাল ব্যবসা। এ খাত থেকে তার বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকা। তার নগদ টাকার পরিমাণ দুই লাখ এবং ব্যাংকে আছে দেড় লাখ টাকা। উপহার হিসেবে পাওয়া ৫ ভরি স্বর্ণ, টিভি, ফ্রিজ, আলমারী, সোফা রয়েছে তার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে ২০ শতাংশ জমির উপর একটি পাকা দালান।