মেডিকেল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে ঝাপ দিয়ে পিউ কর্মকার নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। পিউ তার ফেসবুক আইডিতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারায় পিউ কর্মকার নামে ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসে-গুচ্ছ আমার শেষ ভরসা ছিলো, জানিনা রেজাল্ট কবে দিবে। মেডিকেল, ঢাবি, রাবি ও জাবিসহ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েও উত্তীর্ণ না হওয়ার ক্ষোভ ও কষ্টের কথা লিখে যায়। সে লিখেছে যে আমার আর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেয়ার মত মানসিক ও শারীরিক শক্তি নাই। আমার জীবনটা এখানেই থেমে গেলো। আমি এখন সবার বোঝা। আমার মৃত্যুর জন্য আমাট বড় বড় স্বপ্নগুলোই দায়ী। আমি আমার মা বাবার স্বপ্নপূরণ করতে পারি নাই। আমাকে শেষ বারের মত দেখতে চাইলে নদীর জলেই খুইজো। আমার মৃত্যুটা এভাবে চাই নাই। ভালো থাইকো সবাই। আমি আর আমার জীবনটা এভাবে নিতে পারছিনা। আমাকো মাফ করে দিও সবাই। এভাবে দমবন্ধ করে বাচতে পাতেছিনা আর” এভাবেই তার মৃত্যুর আগে জীবনের প্রতি অনিহার কথা লিখে যান পিউ।ফেসবুক আইডিতে লেখা আপলোড করে সে বাড়ি থেকে একাই বের হয়। তারপর পদ্মানদীর সোনাকান্দর এলাকায় গিয়ে নদীতে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পিউ কর্মকার (২০) রাজবাড়ী শহরের বিনোদপুর ২নং রেলগেট এলাকার জুয়েলারী ব্যবসায়ী কৃষ্ণপদ কর্মকারের মেয়ে।
মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে পদ্মার সোনাকান্দর এলাকায় গিয়ে পানিতে ঝাপ দেয়। এসময় তার বাড়ি থেকে ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে মা, বাবাসহ আত্মীয় স্বজন সবাই খুঁজতে বের হয়। পরে অনেক খোজ করে পদ্মার সোনাকান্দরে পিউ এর পায়ের জুতা দেখে স্থানীয়সহ আত্মীয়রা পদ্মার পানিতে খুজতে থাকে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসি সহায়তায় তাকে পানি থেকে তুলে এনে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
পিউ এর চাচাতো ভাই পলাশ জানায়, পিউ এবছর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হওয়ার পর মেডিকেলে ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষায় পিউ উত্তীর্ণ না হওয়ায় তার মন ভীষণভাবে ভেঙ্গে পরে। পরে পিউ মৃত্যুর আগে তার পিউ কর্মকার নামে ফেসবুকে আইডিতে তার পরীক্ষায় চান্স না পাওয়ায় আত্মহত্যার কথা জানায়।