রাজবাড়ীতে তিন দিনের বাংলা উৎসব শেষ হয়েছে শনিবার রাতে। এর আগে সকাল ১০টা থেকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দৃষ্টিনন্দন মঞ্চে একদিকে চলেছে আলোচনা, গান, কবিতা। একই সঙ্গে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। সমাপন পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ পিপিএম, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল করিম। রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ইকবাল হোসেন। আলোচনা শেষে বিজয়ী দেড়শ ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া উৎসবে আমন্ত্রিত সকল অতিথিকে দেওয়া হয় সম্মাননা ক্রেস্ট ও সংবর্ধিত করা হয় উত্তরীয় পরিয়ে।
রাতে মঞ্চে গান ও কবিতা পরিবেশন করে গেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তিকার ও অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, একুশে পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী, সঙ্গীত শিল্পী জাকির হাসান তপন, আবৃত্তি শিল্পী পলি পারভীন এবং মেসবাহুল মোকার রাবিন । তাদের পরিবেশনা মুগ্ধ করে দর্শকদের। জেলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রাজবাড়ী একাডেমির আয়োজনে গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবের শেষ দিনে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী চারটি বিভাগে বিভক্ত হয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এ জেলার উপর দিয়ে যাওয়া নদীর নামানুসারে দেওয়া হয় চারটি বিভাগের নাম। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি নিয়ে বিভাগটির নাম দেওয়া হয় হড়াই, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি গড়াই, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম কুমার এবং নবম থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী চন্দনা বিভাগ।।
প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিল খালি ঘর পূরণ, বানান সংশোধন, ছড়া লিখন, বিরাম চিহ্নের ব্যবহার, উপসর্গ ও অনুসর্গের ব্যবহার, বাগধারা দিয়ে বাক্য তৈরি, বিপরীত শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি, এক কথায় প্রকাশ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, বঙ্গানুবাদ, কারক ও বিভক্তি, সমাস, অভিধান থেকে শব্দ বের করা, শ্রুতি লিখন, কুইজ, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, দেয়াল পত্রিকা ইত্যাদি।