পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ষড়ঋতুর এ দেশে কালের পরিক্রমায় বছর ঘুরে আসে নববর্ষ। অসাম্প্রদায়িক বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। জীর্ণ-পুরাতনকে পেছনে ফেলে নতুন আশা, নতুন উদ্দীপনায় প্রাণিত হবার উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, রাজবাড়ীর পক্ষ থেকে রাজবাড়ীবাসীকে জানাচ্ছি নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।
বাংলা নববর্ষ চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যে লালিত এক অনন্য দিন। এ দিনটি আমাদের পুরাতনকে পেছনে ফেলে সামনে চলার অফুরন্ত প্রেরণা যোগায়। পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, রীতি-নীতি, প্রথা, আচার-অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক। আমাদের এ বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত। পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক ‘Intangible Cultural Heritage’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যা বাঙালি জাতির জন্য গৌরবজনক।
বাঙালি সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমি আশা করি, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সক্ষম হবো।
নববর্ষের এ শুভক্ষণে ধুয়ে মুছে যাক পুরনো বছরের সব জঞ্জাল, হতাশা ও ব্যর্থতার গ্লানি। নববর্ষ আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। শুভ নববর্ষ।
জয় বাংলা।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
আবু কায়সার খান
জেলা প্রশাসক রাজবাড়ী