দুটি কিডনি নষ্ট শামীমের। প্রতি সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস করাতে হয় শামীমের। অসহায় পরিবারটি চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। প্রতি সপ্তাহে ডায়ালাইসিস নিতে গুণতে হয় প্রায় ৮/১০ হাজার টাকা। ডায়ালাইসিসের খরচ চালাতে সাহায্যের আবেদন চেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয় সংবাদ। প্রচারিত সংবাদ দেখে এগিয়ে আসেন দক্ষিণ দৌলতদিয়া ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বর্তমান সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ হোসাইন। শামীমের ডায়ালাইসিস করাতে নগদ ২০ হাজার টাকা তুলে দেন শামীমের পরিবারের হাতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও দুজন মানবিক মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন শামীমের চিকিৎসায়।
শামীমের চিকিৎসার ব্যাপারে মো. ইসলাম শেখ (শামীমের বাবা) জানান, প্রায় তিন বছর যাবৎ আমার ছেলে কিডনি রোগে ভুগছে। সহায়-সম্বল সব কিছু বিক্রি করে চিকিৎসায় খরচ করেছি। এখন আর আমার বসত বাড়ী ছাড়া বিক্রি করার কিছুই নেই। ছেলের চিকিৎসায় সব সম্পদ শেষ। এখন মাথা গোজার মতো বাড়িটি অবশিষ্ট আছে। চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছি। এমতাবস্থায় সৌদি প্রবাসী হোসাইন ছেলের চিকিৎসায় এগিয়ে এসে যে মানবতার পরিচয় দিয়েছেন সেজন্য আমরা তার কাছে চির কৃতজ্ঞ। এর আগেও তিনি সহযোগিতা করেছেন। আমরা তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করছি। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে ডায়ালাইসিস করাতে আরও অর্থের প্রয়োজন। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মুঠোফোনে কথা হয় হোসাইনের সাথে। তিনি জানান, শামীম আমার এলাকার ছেলে। আবার সে আমার আত্মীয় হয়। এলাকার কেউ বিনা চিকৎসায় মারা যাবে আমরা তা হতে দিতে পারিনা। আমি সাধ্যমত শামীমের জন্য চেষ্টা করবো। তিনি আরও বলেন, শামীমের কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হলে আমি বড় অংকের টাকা সহযোগিতা করে পাশে থাকবো।