মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪২ অপরাহ্ন

ফেরিতে সক্রিয় জুয়ারিরা ॥ সর্বস্ব হারাচ্ছে নিরীহ যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
  • Update Time : রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪
  • ৮৭ Time View

রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাট ও মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া ঘাটের নৌরুট ব্যবহার করে পদ্মা ও যমুনায় ফেরী চলাচল করে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পার হয় এ রুট দিয়ে। এ সুযোগে অসাধু সিন্ডিকেট ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় প্রতি রাতে ফেরিতে চলছে তিন তাস নামক জুয়া।

ঈদে যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। আর এ সুযোগেই কিছু অসাধু সিন্ডিকেট ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একটি মহল প্রতি রাতে ফেরিতে তিন তাস নামক জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতি রাতে জুয়াড়িদের অত্যাচারে বিপদে পড়ে নিস্ব হচ্ছেন যাত্রীসহ চালকরা। প্রশাসন কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে রাতের পর রাত ফেরিতে জুয়াড়িরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ঈদে জুয়াড়িদের ভয়াবহতা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন যাত্রী ও চালকরা। রাতে ফেরিতে প্রশাসনের কোন নজর থাকেনা। রাতে ঈদে বাড়ী ফেরা মানুষের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন সচেতনমহল।

স্থানীয় একজন গণ্যমাধ্যমকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত ২৪ মার্চ রাতে পাটুরিয়া থেকে কেরামত আলী নামে ফেরিতে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে আসছিলো। দৌলতদিয়া ৭ নং ফেরি ঘাটের পল্টনের কাছাকাছি কেরামত আলী ফেরি পৌছানোর আগেই ফেরিতে ট্রলার ভেড়ে। কয়েক জন সংঘবদ্ধ যুবক ট্রলার থেকে ফেরিতে নেমে তাস নিয়ে বসে খেলার জন্য। কয়েক জন যাত্রী ও তাদের সাথে খেলতে বসে। খেলার এক ফাকে এক যাত্রীকে সবাই জোর করে ধরে তার পকেট থেকে টাকা নিয়ে ট্রলার করে চলে যায়। পরে জানা যায় ১৮,০০০ টাকা তারা জোর করে নিয়ে গেছে। সংঘবদ্ধ জুয়াড়িদের হাতে এসময় দেশীয় অস্ত্র ছিলো। এসময় তিনি ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ধারণ করে।

ফেরির কর্মকর্তারা জানান, ওরা রাত ১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ডাকাতি করে। আমরা যদি কিছু বলি ওরা আমাদেরকে মারধর করে। ফেরির এক কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলো যে আপনারা যখন দেখলেন ডাকাত দল আপনার ফেরিতে আসতেছে তখন আপনি মাইকে যাত্রীদের কে সতর্ক করে দিলেন না কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ফেরির কর্মকর্তা বললেন আমি মাইকে বলে দিলে এরপরে আমাকে মারধর করবে এবং আমাকে খুনও করতে পারে।

এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ফেরিঘাট শাখা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জানান, এমন ঘটনা ঘটলে ফেরিতে একাধিক স্টাফ থাকে তাদের জানানো দরকার। আর আমার নাম্বার সকল ফেরিতে দেয়া আছে। পাশাপাশি নৌ পুলিশের নাম্বারও আছে। এমন ঘটনার সাথে সাথে আমাদেরকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা পদক্ষেপ নেবো।

দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ মো. ফরিদউদ্দিন জানান, এ বিষয়ে পুলিশ সজাগ আছে। ঈদ উপলক্ষে পুলিশের কড়া নজর দারি আছে। একই সাথে প্রত্যেক ফেরিতে পুলিশের নজরদারি রয়েছে। এবং ইতিপূর্বে ফেরিতে যারা জুয়া খেলা পরিচালনা করেছিলো তাদের দুইটি মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছিলো। এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেবো। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com