রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরীঘাটের সংযোগ সড়কের ঢাল বেশি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সংযোগ সড়কগুলো নিয়মিতভাবে সংস্কার না করায় ঝুকি বেড়েছে। আর এ ঝুকি নিয়েই ফেরি থেকে যানবাহন নামছে ও উঠছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালকরা। ঈদের আগে ফেরী ঘাটের সংযোগ সড়কগুলো সংস্কার না করা হলে ভোগান্তিতে পড়বে ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন পারাপার হয়। আর অল্প কিছুদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ উপক্ষে এ ঘাট দিয়ে বাড়ী ফেরা মানুষের চাপ বাড়ে তেমনি ভাবে যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে ফেরি থেকে যানবাহন নেমে মূল সড়কে যেতে ঝুকি নিয়ে সংযোগ সড়কগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। আর ঝুকি থাকা সংযোগ সড়কেই প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। গত ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার একটি কার্ভার্ড ভ্যান পদ্মা নদীতে পড়ে যায়। গত ২৭ মার্চ রাত ৯:৩৫ মিনিটে দৌলতদিয়া ৪ নম্বর ফেরিঘাটে পণ্যবাহী ট্রাক ফেরিতে উঠতে গিয়ে সংযোগ সড়কেই আটকে গিয়ে পড়ে যায়। তাছাড়া গাড়ী সড়কে উঠার সময় গাড়ীর স্কেলসহ নানা ধরণের সরঞ্জাম ভেঙে যায়।
আরিফ সরদার নামে পরিবহনের চালক বলেন, বর্তমানে ফেরীঘাটের যে সংযোগ সড়কগুলো আছে সেগুলো বেহাল দশা। সেখান দিয়ে যাওয়া খুব কষ্টকর ব্যাপার। ফেরি থেকে উঠতে ও নামতে গাড়ীর স্কেল ভেঙে যায় এবং গাড়ীর খুব ক্ষতি হয়।
শাহিন খান নামের স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এ মাসেই দুইটা ট্রাকের ক্ষতি হয়েছে। কিছুদিন আগে ফেরী থেকে নামতে গিয়ে নদীতে পড়ে যায় একটি কার্ভার্ড ভ্যান ও কয়েকদিন আগে ফেরীতে উঠতে গিয়ে পন্যবাহি ট্রাক সংযোগ সড়কেই পড়ে যায়।
খোরশেদ নামের আরেক চালক বলেন, ঈদে ঘর মুখো মানুষের চাপ বাড়বে। তখন যানবাহনের চাপ থাকবে। ঈদের আগে ফেরী ঘাটের সংযোগ সড়কগুলো মেরামত করা প্রয়োজন। সংযোগ সড়কগুলো মেরামত না করলে ঈদে বাড়ী ফেরা মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে সেই সাথে যানবাহনের চালকরাও পড়বে দুর্ভোগে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট শাখা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক, আলিম দেইয়ান জানান, পদ্মায় পানির স্তর কমে যাওয়ায় এ সমস্যা হচ্ছে। মার্চ ও এপ্রিল মাসে পদ্মায় পানি কমে যায় আর নদীতে পানি কমলে এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ঈদের আগেই ফেরি ঘাটের সংযোগ সড়কগুলো সংস্কার করা হবে।