পর্ণোগ্রাফির মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শহরের সজ্জনকান্দা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা হলো মাসুদুর রহমান (৪৫) পিতা আব্দুর রাজ্জাক সাং বিনোদপুর থানা রাজবাড়ী সদর জেলা রাজবাড়ী, রিমা খাতুন(২৬) পিতা হাসান আলী সাং বাঘমারা থানা রাজবাড়ী সদর জেলা রাজবাড়ী, জামাল সরদার (৫২) পিতা আবুল সরদার সাং মদাপুর থানা কালুখালী জেলা রাজবাড়ী, ফজলুল হক (৫৩) ভবানীপুর থানা রাজবাড়ী সদর জেলা-রাজবাড়ী এবং এমদাদ হোসেন (৫৯) পিতা মৃত কারী আনোয়ার উল্লাহ সাং লক্ষীনারায়নপুর থানা রাজবাড়ী সদর।
রাজবাড়ীর ডিবি ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, রিমা খাতুন ফেসবুকের মাধ্যমে মাহফুজ নামে এক যুবককে ভালবাসার ফাঁদে ফেলে কথা বলার জন্য মাসুদুর রহমানের বাসায় ডেকে নিয়ে নিয়ে যায়। এরপর মাসুদুর রহমান তাহার সহযোগী জামাল সর্দার, ফজলুল হক এর সহায়তায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রিমা খাতুন এবং মাহফুজের আপত্তিকর দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে মাহফুজের পরিবারের কাছ থকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আসামী কাজী কেএমএম ইদদাদ হোসেন এর মাধ্যমে বিবাহের কাবিন নামা এবং নোটারী পাবলিকের হলফনামা প্রস্তুত করে মাসুদুর রহমান পুনরায় মাহফুজের পরিবারের কাছে দশ লক্ষ টাকা দাবী করে। ডিবি পুলিশ তথ্য পেয়ে চক্রটিকে আটক করে। আসামীদের হেফাজত থেকে পর্নোগ্রাফির প্রমান সহ দু’টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, বিবাহ সংক্রান্ত হলফনামার মূল কপি ও ফটোকপি, ভূয়া নিকাহনামার কপি, নিকাহ রেজিস্টার ও কাজী কে এম এম ইমদাদ হোসেন এর স্বাক্ষর ও সিল ছাড়া অসম্পূর্ণ একটি নিকাহনামা, ১০০ এবং ৫০ টাকা মূল্যের নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ১৫ টি, মেজর কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্ট এর ২ টি সীল, আর্মিতে চাকুরীরত থাকার মেজর কর্তৃক স্বাক্ষরিত ভূয়া একটি প্রত্যয়ন পত্র, একটি প্লাস্টিকের বক্সের মধ্যে রাখা ৫ টি মেমোরী কার্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহীনির একটি আইডি কার্ডসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা হয়েছে।