বাঙালী জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাঙালী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৭ই মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। এই শুভ দিনে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি ও তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
৩০ লক্ষ শহীদ আর দুই লক্ষ মায়ের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালীর হাজার বছরের যে শ্রেষ্ঠ অর্জন তাঁর পুরোটাই নেতৃত্ব ছিলো বঙ্গবন্ধুর। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট, ৬৪’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গনঅভ্যুত্থান এবং ৭০’র নির্বাচনসহ ২৩ বছরের দমনপীড়ন শোষণ-শাসন পেড়িয়ে অত্যাচরের সীমাস্থলনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে বাঙালীদের উজ্জীবিত করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামে। মুক্তিকামী জনতার ঢেউকে সেদিন দমাতে পারেনি পশ্চিমা হায়েনারা। নয় মাসে অবশেষে অর্জিত হলো স্বাধীনতা। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সর্বাঞ্চলে সবুজের বুকে রক্তের ঢেউ দিয়ে উড়তে লাগল বাংলার পতাকা। শেখ মুজিব হলেন জাতির পিতা। বাঙালীরা বুক উচু করে দীর্ঘ শ্বাস নিল। শুরু হলো ভঙ্গুর এক রত্তাক্ত জনপদে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার পূনর্গঠন। কিন্তু তা আর অগ্রসর হলো না। দেশী বিদেশী কুচক্রিমহল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারসহ সমগ্র জাতিকে থামিয়ে দিল। জাতির অস্তিত্বকে ক্ষতবিক্ষত করে বাঙালীর মননজুড়ে বেয়নেটের আচড় পুতে দিল। আবারও সংগ্রাম। আবারও আন্দোলন। এবার শুধু দেশ গঠনের। বঙ্গবন্ধুকে রক্তাক্ত মানচিত্র থেকে মুছতে পারবেনা ওরা কোন কিছুতেই। এই ছিল পণ। বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহ বাঙালীকে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় উজ্জীবিত করল।
এ স্বপূরণে তার সুযোগ্য কন্যা ও বিশ্ব মানবতার মাতা জননেত্রী শেখ হাসিনা দুঃসাহসিক অভিযানে আবির্ভূত। এমডিজি পূরণে সফল হয়ে এসডিজি ’র লক্ষ মাত্রা এখন হাতের নাগালে। সবকিছুই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নপূরণের অঙ্গিকার। আগামীতে হবে আমাদের একটি উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ। এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী
মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, রাজবাড়ী-১ ও
সভাপতি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।