রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নরেশ রায় নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বিবাদমান জমিতে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ কাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার পূর্ব উজানচর মাখন রায়ের পাড়া নতুন ব্রিজ সংলগ্ন এলাকার। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নরেশ রায় রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবাদী মনি খাঁ জানান, নরেশ রায়ের মামলার প্রেক্ষিতে আদালত আগামী ১৭/৯/২০২৩ ইং তারিখ শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করে আমাকে কারন দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন। কিন্তু আমার কারন দর্শানোর আগেই নরেশ রায় বিবাদমান ওই জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে তিনি আদালত অবমাননা করছেন বলে তার দাবি। এমতবস্হায় আমি আইনি সহায়তার জন্য রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করি। এরপর দুইদিন আগে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ এসে কাজ বন্ধ রাখতে বলে। কিন্তু তারা (নরেশ রায়) কারো কোন কথা না মেনেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নরেশ রায় ও তার লোকজন। নরেশ রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, এই জমি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। বহুকাল ধরে তারা এর দখলেও রয়েছেন। এই একই দাগ হতে তাদের ওয়াকফ করা জমিতে তার বাবার নামে ” মাখন রায়ের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়” নামে একটি স্কুলও গড়ে তোলা হয়েছে। মনি খাঁ একজন মামলাবাজ মানুষ। ইতিপূর্বে একাধিক মামলা ও শালিসের রায় তার বিরুদ্ধে গেছে। তারপরও তিনি আমাদের নানাভাবে হয়রানী করে চলেছেন।
নরেশ রায়ের ছোটভাই, উজানচর ইউপির সাবেক সদস্য নিখিল রায় দাবি করেন, আদালতে ১৪৪ ধারা মামলা করা হয়েছে। আদালত বিবাদী মনি খাঁ’কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। আমাদের কোন নিষেধাজ্ঞা দেননি। তাই আমরা সেখানে নির্মাণ কাজ করলেও তাতে কোন আইনি বাধা নেই। আমরা উকিলের সাথে কথা বলেই কাজ করছি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, বিবাদমান জমিতে আদালত কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। বিবাদি মনি খাঁ পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ সরেজমিন গিয়ে নরেশ রায়কে সাময়িক কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। সেই সাথে মনি খাঁ’কে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু মনি খাঁ আর যোগাযোগ করেনি। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিষয়টির উপর তারা নজর রাখছেন।