সরকারি নিয়মনীতি না মেনে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গড়ে ওঠা ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হাসপাতালের সামনে একটি প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেটের মাত্র ১৫ ফুট দুরে স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসক এই অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয় করে মালিকানার অংশীদার হন বলে জানা যায়। সেখানে রক্ত, মূত্র, অল্ট্রাসনোগ্রাফীসহ ৫৬ প্রকার পরীক্ষা হয়। এসব পরীক্ষা বিনামুল্যে বা স্বল্প মুল্যে হাসপাতালে করার সুযোগ আছে। কিন্তু কতিপয় ডাক্তার ও দালালের চাপে রোগীরা তা করতে পারে না। হাসপাতালে দালাল চক্র থাকার নিয়ম নেই। তারপরও ল্যাব কেয়ারের ৪ নারী দালাল রোগীদের ভুল বুঝিয়ে নির্দিষ্ট ওই প্রতিষ্ঠারেন নিয়ে যান। ফলে রোগীরা সরকারি পরীক্ষা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। এতে সরকারও বড় অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
হাসপাতালে আসা রনজু নামের এক রোগী জানান, আমি রক্ত পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাই। এক ডাক্তার আমাকে বললেন এখানে রক্ত পরীক্ষা ভালো হয় না। সে আমাকে নির্দিষ্ট ওই ল্যাবে যেতে বলে। পরীক্ষার পর জানতে পারি ওই ডাক্তারই মালিক।
স্থানীয়রা হাসপাতালের ১৫ ফুট দুরের অনুমোদনহীন এ ধরনের ল্যাব বন্ধের জন্য সিভিল সার্জনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।