আজ ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এ দিনে বাঙালির মুক্তি আন্দোলনকে নস্যাৎ করে দিতে নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। ঢাকাসহ সারাদেশে চালানো হয় গণহত্যা। শহিদ হন শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার অগণিত মানুষ। আজকের এ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি ২৫ মার্চ কালোরাতে নিহত সকল শহিদদের। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি, চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক- সমর্থকসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁদের অসামান্য অবদান ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের মাধ্যমে কিছুটা হলেও আমাদের সে কলঙ্কমোচন হয়েছে। আমি মনে করি গণহত্যা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে ২৫ মার্চ কালরাতের গণহত্যা ও আমাদের স্বাধীনতা ইতিহাস নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে। আমাদের আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস।
বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল আমাদের মহান স্বাধীনতা। দেশের জন্য তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন, দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য তিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আত্মনিয়োজিত ছিলেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার প্রত্যয়ে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।দেশপ্রেমের আদর্শে বলীয়ান হয়ে দলমত ও ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুখী, সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের“সোনার বাংলা” গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা এক সাথে কাজ করবো গণহত্যা দিবসে এ হোক আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়।
জয় বাংলা।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
আবু কায়সার খান
জেলা প্রশাসক
রাজবাড়ী