রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা মৎস্য অফিসারের বিরুদ্ধে জেলেদের প্রণোদনার চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কালুখালীর মৎস্যজীবিরা রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে। এর আগে জেলেরা কালুখালী উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি কমরেড নজরুল ইসলাম জোয়াদ্দার, মৎস্যজীবি অমল কুমার বিশ্বাস ,নিখিল কুমার, হাফিজুল ইসলাম,সুকুমার কুমার, রাম প্রসাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন । মৎস্যজীবিরা জানান, সরকার প্রতি বছর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে আমাদের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এজন্য আমাদের জন্য চাউল প্রদান করে। এবছর উপজেলা মৎস্য অফিসার আবু বকর সিদ্দিকী প্রণোদনার চাউল আমাদের না দিয়ে নিজে আত্মসাত করেছে। ফলে আমরা অনাহারে দিন কাটিয়েছি। জেলেরা এ ঘটনার সুবিচার দাবী করেছেন। মানব বন্ধন শেষে জেলেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য অফিসার আবু বকর সিদ্দিকী জানান, আমি কোন চাউল আত্মসাত করিনি। রতনদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রণোদনার চাল প্রদান করেছে। তিনিই বিষয়টি জানেন। কালুখালীতে ১২ শ কার্ডধারী জেলে আছে। এর মধ্যে ৫ শ জেলের চাল প্রদান করা হয়েছে। বাকীরা সাওরাইল,মদাপুর,মৃগী এলাকার। তাই তারা চাল পায়নি। তার দাবী রতনদিয়া ইউনিয়নের কোন জেলে প্রণোদনার চাল থেকে বাদ যায়নি।