রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় জরায়ুমুখে ক্যান্সার (ভায়া) পরীক্ষা নির্ণয় ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্বিক সহযোগিতায় দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আয়োজনে সকাল ৯ টা হতে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলে এ ক্যাম্প। ক্যাম্পে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর ১২০ জন যৌনকর্মীর ভায়া পরীক্ষা করা হয়। ভায়া ক্যাম্পের নেতৃত্ব দেন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং ইনচার্জ মৃদুলা বিশ্বাস। ভায়া ক্যাম্পে অন্যান্যদের মধ্যে সহযোগিতায় ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভায়া ইনচার্জ রমা রানী ভক্ত, স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাহেদা আক্তার, সিএইচসিপি জায়েদুল ইসলাম, দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্যারামেডিক হারুন-অর-রশীদ, শিহাব উদ্দীন, মুস্তাকিন হোসেন, ফয়জুন নাহার বৃষ্টি, দুলালী আক্তার চাঁদনী, খাদিজা খাতুন।
ভায়া ক্যাম্প পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. জুলফিকার আলী, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৌরভ কুমার বিশ্বাস, গোয়ালন্দ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিক শামীম, পায়াক্ট বাংলাদেশ সংস্থার ডিআইসি ম্যানেজার মো. মজিবুর রহমান খান জুয়েল, দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফিল্ড অ্যানিমেটর মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. শরিফ হোসাইন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ঈমান হোসেন প্রমুখ।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং ইনচার্জ মৃদুলা বিশ্বাস বলেন, জরায়ুমুখে ক্যান্সার নারীদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা। সাধারণত বিবাহিত এবং ৩০ বছরের বেশি বয়সের নারীরা এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। প্রতিবছরে অন্তত একবার ভায়া পরীক্ষা করা অতি জরুরি। তবে আশার কথা হলো নিয়মিত পরীক্ষা এবং সঠিক সময়ে জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্ণয় করা গেলে, এটিকে সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায়।