রাজবাড়ীর পাংশায় স্কাউটিং কাউন্সিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরলক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেককে ৬ জন শিক্ষক মিলে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনার বিচার চেয়ে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক আব্দুল মালেক।
এসময় তিনি জানান, গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পাট্রাজোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল ইসলাম তাকে কাব স্কাউটিং কাউন্সিল নির্বাচনের বিষয়ে জরুরি আলোচনা করার কথা বলে পাংশা শহরের মালেক প্লাজার ভেতরে ডেকে নেন। সেখানে উপস্থিত হলে খায়রুল ইসলামসহ শিক্ষক শাজাহানুল হক, কাজী শামসুল হক, আমিরুল ইসলাম, রাশেদুর রহমান, জাকির হোসেন তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, স্কেল ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি হতবিহবল হয়ে পড়েন।
অভিযুক্ত পাট্রাজোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ধাক্কাধাক্কি হয়েছে তবে মারধরের বিষয়ে নিশ্চিত নই।
অপর অভিযুক্ত ধানুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাজাহানুল হকও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। পরে আমরা একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেছি বলে জানান।
রুপিয়াট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী শামসুল হক ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবি করেন।
অভিযুক্ত নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ওইখানে মারামারি হয়নি, আগে বিরোধ ছিল। তবে এর মিমাংসা করা হয়েছে।
কবি নজরুল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, গত ১৩ জানুয়ারী মালেক প্লাজায় স্কাউটিং কমিটি নিয়ে বসা হয়। সেখানে উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস.এম. আবু দারদা বলেন, বিষয়টি এখনো আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।