পাংশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুজন প্রার্থী। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বুড়ো। আনারস প্রতীকের ফরিদ হাসান ওদুদ শিক্ষা সম্পদ আয় সবকিছুতেই এগিয়ে রয়েছেন। নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে এসব তথ্য। যদিও তারা হলফনামায় যে মূল্য উল্লেখ করেছেন তা বর্তমান বাজার মূল্যের তুলনায় অনেক কম। একটি জায়গায় দুজনের মিল দেখা গেছে। দুজনই পেশা উল্লেখ করেছেন মৌসুমী ফসলের ব্যবসা।
হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ফরিদ হাসান ওদুদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসএস। মামলার ছকে তিনি উল্লেখ করেছেন, ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩৭৯/৩৪ ধারায় পাংশা থানায় দায়ের করা মামলাটি পুলিশ প্রতিবেদনে অব্যাহতিপ্রাপ্ত। পুনরায় তদন্তাধীন। তার বার্ষিক আয় ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। কৃষি খাত থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া ৪৮ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, শেয়ার সঞ্চয়পত্র ইত্যাদি ১৫ লাখ টাকা এবং সম্মানী ভাতা ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ১৫ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ৭০ লাখ টাকা, সাত লাখ টাকা মূল্যের একটি রোলার, মোটরসাইকেল একটি, যার দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ৮ ভরি স্বর্ণের দাম উল্লেখ করেছেন ২০ হাজার টাকা, টিভি, ফ্রিজ, খাট, আলমারী মিলিয়ে ২ লাখ টাকা। এছাড়া তার স্ত্রীর নগদ আছে ২০ লাখ এবং ব্যাংকে আছে ৫ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর ২০ ভরি স্বর্ণ আছে। যা উপহার হিসেবে পেয়েছেন। স্থাবর সম্পদের বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেছেন, কৃষি জমির পরিমাণ ৩৩ শতাংশ। যার দাম ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬৭ টাকা। অকৃষি জমি রয়েছে ২০ শতাংশ। দাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এছাড়া পৈতৃক সূত্রে পেয়েছেন ৭শ শতাংশ। রয়েছে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের একটি দ্বিতল বাড়ি। আর একটি বাড়ি উপহার হিসেবে পাওয়া। তার স্ত্রী সম্পত্তির পরিমাণ ১.১০ একর। যার দাম ৬০ লাখ টাকা।
অপর চেয়য়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বুড়ো ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি। হলফনামায় তার বার্ষিক আয় উল্লেখ করেছেন ৬ লাখ টাকা। মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ এবং অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা। বার্ষিক আয়ের বিবরণীতে কৃষি থেকে ৮০ হাজার, ভাড়া থেকে ৪ লাখ, চেয়ারম্যান ভাতা হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ২২ লাখ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ৫ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রাইভেট কার, ৫ ভরি স্বর্ণ যার দাম মাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর ৩৫ ভরি স্বর্ণের দাম উল্লেখ করেছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া দুটি ফ্রিজ, দুটি টিভি, ৫টি সিলিং ফ্যান, চারটি খাট, দুটি আলমারী, একটি ড্রেসিং টেবিল, একটি সোফা মিলিয়ে ৭ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পদে কৃষি জমির পরিমাণ ২৬৪ শতাংশের মূল্য উল্লেখ করেছেন ৪ লাখ টাকা। একশ শতাংশ অকৃষি জমির দাম দেখিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা, তার স্ত্রীর নামে ৭ শতাংশ জমি আছে। যার দাম ২ লাখ টাকা। ৩ তলা বিশিষ্ট একটি দালান রয়েছে। যার দাম ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।