রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দায় অবস্থিত ডিম্পল আইসক্রীম কারখানাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা আদায় করে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান জানান, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ এবং পণ্যের মোড়ক যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৪২ ধারায় এ জরিমানা করা হয়। তিনি আরও জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সর্বসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিলি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরকার নির্ধারিত নিয়মে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য সবাইকে আহ্বান করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসক, রাজবাড়ীর সার্বিক নির্দেশনায় রাজবাড়ী জেলা কার্যালয় কর্তৃক রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে সদর উপজেলার সজ্জনকান্দা এবং কলেজপাড়া এলাকায় বিভিন্ন নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, আইসবার ও আইক্রিম সামগ্রী উৎপাদনকারী ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানসহ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও প্রতিদিন হালনাগাদকরণ, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রয় করার নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং নিষিদ্ধ পণ্যের বিক্রয়রোধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য এবং অননুমোদিত ও অবৈধ পণ্য বিক্রয় না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয়। উক্ত তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর অধীন ৩৭ ও ৪২ ধারার লঙ্ঘনজনিত বিভিন্ন অপরাধে ০১ (এক) টি প্রতিষ্ঠানকে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সর্বসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরকার নির্ধারিত বিধির অধীন যথা নিয়মে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্যর সতর্ক করা হয়। জেলা প্রশাসন রাজবাড়ী ও জেলা চেম্বার অব্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষ এর সহায়তায় এবং পুলিশ লাইন্স রাজবাড়ী এর সদস্যনবৃন্দ ও জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর রাজবাড়ী- এর অংশগ্রহণে উপর্যুক্ত তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। জনস্বার্থে এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।