ভাষার মাসের এই ক্ষণে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। শ্রদ্ধা জানাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি। যাদের জন্য আজ আমরা একটি নিজস্ব পতাকা একটি সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র পেয়েছি। মা মাটির দেশ এসবের পিছনে যে মানুষটির অবদান অনস্বীকার্য তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি।
প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে খুব বেশি মনে পড়ছে জাতীয় নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ড. এসএ মালেক স্যারকে। যিনি পত্রিকার সূচনা লগ্ন থেকে বিভিন্ন সময় তার লেখনিতে আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন। সেই সাথে রাজবাড়ীর কৃতি সন্তান সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু হেনা স্যারকে যিনি পত্রিকার শুভ সূচনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি প্রতিনিয়ত এই পত্রিকার খোঁজ খবর রাখছেন। কৃতজ্ঞতা জানাই রাজবাড়ীর প্রবীণ সাংবাদিক আবু মুসা বিশ^াসকে। যিনি প্রকাশকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রথম থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।
এই পত্রিকা প্রকাশে যাদের সহযোগিতা না পেলে হয়তো পত্রিকাটি জনসম্মুখে প্রকাশিত হতো না। তারা হলেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ীর তৎকালীন জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, বর্তমান জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান। এছাড়া পত্রিকা প্রকাশের অনুমোদন প্রক্রিয়া এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিল জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি কাজী ইরাদত আলীর সহযোগিতায়। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। তার সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করি।
এই এক বছরের পথ চলায় বন্ধু হয়ে পাশে ছিলেন সাংবাদিক মুক্তার ভাই, শামীম ভাই, সনজিৎদা, শহিদুল ভাই, সাজ্জাদ, শুভ, মুমিন, আতিয়ার ভাই, আদম ভাই, আক্কাস ভাই, এজাজ ভাই, মেহেদী, শতদল ভাইসহ আরো অনেকে। ঢাকা থেকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন জহুরুল ভাই, মুনির ভাই, জাহিদুল ভাই। সাথে আছে কেকেএস এর এক ঝাঁক নিবেদিত উন্নয়নকর্মী যারা আমার সকল কাজের অনুপ্রেরণা যোগায়।
কখনো যে এই মহান পেশায় আত্মনিয়োগ করতে হবে এ ধরনের প্রস্তুতি, অভিজ্ঞতা বা সাহস কোনোটিই ছিল না আমার। ঘটনাচক্রে যখন চলে এলাম পাশ থেকে যিনি অনুপ্রেরণা ও সাহস জুগিয়েছেন তিনি হচ্ছেন সাংবাদিক সৌমিত্র শীল চন্দন। তার সাথে সম্পর্কের বাঁধন সেই ছোটবেলা থেকে ফলে আমার যত অভিযোগ, অনুযোগ, অনুরোধ, আবদার কত কিছুই না চন্দনদাকে সহ্য করতে হয়। তাই পত্রিকার সুচনা থেকে প্রতিটি শব্দ বুননে, সাংগঠনিক কাজে বিভিন্ন স্তরের ব্যবস্থাপনা, আইন বিষয়ক জটিলতাসহ সকল বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
তবে, কষ্টের বিষয় এটাই, আমাদের পথচলায় কেউ কেউ প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করেছে এবং করছে। শত বাধা পেরিয়ে সকলের সহযোগিতায় আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাবো ইনশাল্লাহ। দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী’র বড় শক্তিই হচ্ছে তৃণমূলের এক ঝাঁক প্রবীণ ও নবীন সংবাদকর্মী। যারা এই পত্রিকা প্রতিষ্ঠায় ভালোবেসে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
গত এক বছরের ভুল ত্রুটিগুলো পর্যালোচনা করে যাতে সামনের দিনগুলো আরো সুগঠিত হয় সেই লক্ষে রাজবাড়ী জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সুধীজন, সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ সকলের কাছে সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করি।
দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী’র প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার একজন সমাজ সংস্কারক। তিনি এ পত্রিকার সম্পাদকের মত এমন একটি গুরত্বিপূর্ণ দায়িত্বে আমাকে যোগ্য মনে করেছেন। সন্তান হয়ে বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ কৃপা তিনি আমাকে বাবার পাশে থেকে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবার সুযোগ করে দিয়েছেন। তার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি।
গত এক বছরে দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী তৃণমূলের কথাগুলো তুলে ধরতে যেভাবে চেষ্টা করেছে তাতে প্রতিবন্ধকতার বেড়াজালে কিন্তু আটকানো যায়নি। অনেক যতেœ লালিত আর দায়িত্ববোধ দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী’কে সামনে এগিয়ে নিয়েছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সফলতার দৃষ্টান্ত যেমন আমরা তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি তেমনি জাতি সুরক্ষায় প্রতিবন্ধকতার দিনগুলিও তুলে ধরেছি আমরা।
প্রিয় পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের আনন্দটুকু আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আমার সহকর্মীরাই আমার অস্তিত্বের সবটুকু জুড়ে আছে। তারাই আমাকে এক বছরের শক্তি সাহস ও মনোবল তৈরি করে দিয়েছে। আমি প্রত্যাশা রাখি সামনের দিনগুলোতে দেশের ইতিবাচক সকল সংবাদ আমরা ছড়িয়ে দেবো বিশ্বময়। আসুন সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। দেশকে ঘুষ দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সকলে অবদান রাখি। বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বজুড়ে। আপনারা বিশ্বাস রাখবেন যে দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী অবশ্যই সকল ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে পথ চলবে।
দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে ইনশাল্লাহ। আপনারা যারা পাশে ছিলেন আগামীতেও পাশে থাকবেন এ বিশ্বাস আমরা রাখি। সবার মঙ্গল হোক।
ফকীর জাহিদুল ইসলাম (রুমন)
সম্পাদক
দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী।