রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মিছিলে বোমা হামলার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি, পৌর কাউন্সিলর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০জনকে আসামী করা হয়েছে।
আকমল হোসেন (৪০) নামে এক যুবক শনিবার রাতে এই মামলাটি দায়ের করেন। তিনি পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরঝিকড়ি গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় কৃষক আকমল যুবলীগের সক্রিয় কর্মী।
মামলার প্রধান আসামীরা হলেন চাঁদ আলী খান (৫৫)। তিনি পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বাড়ি পাংশা পৌর শহরের নারায়নপুর গ্রামে। অন্য আসামীরা হলেন বিধান কুমার বিশ^াস, নাসির উদ্দিন, রোকন খান, সেলিম সরদার, সবুজ সরদার, রইচ উদ্দিন খান, লিয়াকত আলী খান, শাহিদুল, আরিফ গাজী, পেনু মেম্বার, ফজলুল রহমান ও জিলাল।
এদের মধ্যে নাসির উদ্দিন পাংশা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, রইচ উদ্দিন খান পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর, লিয়াকত আলী বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান। অন্য আসামীরা বিএনপির নেতাকর্মী।
এজাহারে বলা হয়, সমসাময়িক ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে মিছিল বের করা হয়। বিকেলে পাংশা উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় থেকে এই মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পাংশা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নারায়নপুর দ্বীপ এগ্রোফুডের সামনে পৌছালে মাগুরাডাঙ্গী কলেজের দিক থেকে আসামীরা লাঠিসোটা নিয়ে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। হামলাকারীরা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এতে মামলার বাদী ও কর্মী রাজিব (২৬) আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ককটেলের অংশবিশেষ উদ্ধার করে।
চাঁদ আলী খান বলেন, গতকাল আমরা কেউ অফিসেও বসি নাই। ঘটনার সময় আমি পাংশা শহরের দত্ত মার্কেটে একটি দর্জির দোকানে ছিলাম। তাছাড়া আপাতত আমাদের কোনো কর্মসূচিও নেই। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের কথা শুনে রাতে বাড়িতে ছিলাম না। রাতে বাড়িতে পুলিশ গিয়ে ছিল। স্থানীয়দের কাছে শুনেছি, একটি বোমা বিস্ফোরণ করা হয়েছে।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, মিছিলে বোমা হামলার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।