রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ৫ নং ফেরিঘাটে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলসহ সাড়া দেশে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দৌলতদিয়া পদ্মানদীতে সৃষ্ট ঝড়ে ৫নং ফেরিঘাটের রো রো পল্টন পানি ছেড়ে উপরে উঠে আসে। প্রবল ঝড়ে নদীতে সৃষ্ঠ ঢেউয়ে ৫ নং ফেরিঘাটে নদীর পাড় ঘেষে থাকা খাবার হোটেল ২টি, মুদি দোকান ৩টি সুপেয় পানির ১টি নলকূপনহ পাড়ে বাধা ৩ টি যন্ত্রচালিত ট্রলার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়।
২৫ অক্টে ঘাটে গড়ে ওঠা হোটেল ও মুদিদোকান নদীতে ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে। ৫নং ফেরিঘাটের আর কিছু অংশ ভাঙলে পাকা সড়কও ভাঙ্গনের সম্মুখীন হতে পারে। প্রবল ঝড়ে পদ্মা নদীর ঢেউয়ে ভাঙ্গনের ফলে নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়া হোটেল মালিক শাহীন শেখ বলেন, গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে থেকে ঝড়ের হতিবেগ লক্ষ করছিলাম, ঝড়ের গতিবেগ বাড়তে বাড়তে নদীতে ঢেউয়ের পরিমাণ বেড়ে দোকানে ঢেউ আছড়ে পরতে থাকলে দোকানের কিছু মালামাল সরাতে থাকি। প্রচন্ড ঢেউয়ে ভাঙ্গন শুরু হলে দোকান থেকে অন্যত্র সরে যান। তারপর ঝড়ের গতিবেগ কমতে থাকলে দোকানের কাছে এসে দেখি আমার হোটেলসহ আক্কাছের হোটেল এবং বাবুল, রফিক, একলাসের মুদি দোকানসহ পাড়ে বাধা ৩টি ট্ররার নিশ্চিহ্ন। পাড়ের কিনারে তাকিয়ে দেখি পানিতে ভেসে আছে শুকনা বাঁশ ও আপেলের গায়ে থাকা প্লাস্টিকের মোড়ক ও পানির বোতল।
তিনি আরও বলেন নদীতে আমাদের দোকানপাট তলিয়ে যাওযায় অর্থনৈতিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। এখন কি করে খাবো সেটায় চিন্তা করছি। এমনিতেই পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ঘাট দিয়ে গাড়ি চলাচল করে কম। মানুষের চলাচল নাই বললেই চলে। আয় রোজগার অনেক দিন ধরেই কম, এর উপর আবার নদীতে দোকানপাট বিলীন হয়ে আজ নিঃস্ব হয়ে সর্বস্ব হারালাম। আমাদের দেখার কেউ নেই। আমাদের আনুমানিক সবমিলিয়ে ১০-১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।