জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যয় নিয়ে রাজবাড়ীতে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
সকালে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা আওয়ামী লীগ, রাজবাড়ী জেলা প্রেসক্লাব, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অবস্থিত জাতির জনকের ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়।
পরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অফিসার্স ক্লাবের মুক্তমঞ্চে শোক দিবসের আলোচনা সভায় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খোদেজা নাসরীন, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহীম টিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সে লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। সেটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি। জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যয় নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
তারা আরও বলেন, আমরা জানি খুনি চক্র এখনও সোচ্চার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী সেই প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি এখনও সোচ্চার রয়েছে। আমাদের প্রত্যয় থাকবে তাদেরকে এ বাংলার মাটি থেকে চিরদিনের জন্য নির্মূল করার।
হান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তিই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আজ থেকে ৪৭ বছর আগে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর পুরো জীবনটাই সংগ্রামের। বঙ্গবন্ধু জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো জেলে কাটিয়েছেন, দেশ স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষদের অর্থনৈতিক মুক্তি। সে কাজটি করতে পারেননি তিনি। আজ তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ ২১ বছর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে উন্নতি করছেন। দেশ আজ শক্তিশালী অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে আছে।