আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। বাঙালী জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বিপথগামী একদল সেনা সদস্যদের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্মমভাবে শাহাদৎ বরণ করেন। সেই সাথে শহীদ হন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ অনেক নিকট আত্মীয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এত নির্মম কলঙ্কময় ঘটনা বিরল। অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলেই নয় মাসের যুদ্ধে অর্জিত হয়েছিলো স্বাধীনতা। কিন্তু যে লক্ষ্য অর্জনের তৃষ্ণা নিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা রক্ত নদী বইয়ে লাল সবুজের পতাকা পুঁতে ছিলো বাংলার প্রান্তরে, বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সেই স্বপ্ন সাধ বাঙালীর আর পূরণ হলো না। দেশী বিদেশী কুচক্রি মহল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করে সমগ্র জাতিকে থামিয়ে দিল। স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত বঙ্গবন্ধুর বাঙালীকে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় কুঠারাঘাত করল।
কিন্তু এই হত্যাকান্ড বাঙালী জাতিকে ব্যর্থ করতে পারেনি। কাক্সিক্ষত স্বপ্ন পূরণে তার সুযোগ্য কন্যা ও বিশ্ব মানবতার মাতা জননেত্রী শেখ হাসিনা দুঃসাহসিক অভিযানে আবির্ভূত। ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। দুর্ভিক্ষগ্রাসী বাঙালী এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ। বাঙালীর মাথা পিছু গড় আয় এখন ২৫৫৪ মার্কিন ডলার। জিডিপি অর্জন পার্শবর্তী অনেক রাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে। এই সবকিছুই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার।
বাঙালী জাতি হিসেবে এই যাত্রায় আমিও একজন কর্মী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সার্বক্ষণিক সকল সরকারি সেবা পৌছে দিয়ে এই জেলাকে উন্নয়নের ট্রাকিংয়ে আমরা আনতে সক্ষম হতে যাচ্ছি। আসুন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নির্দেশনার সাথে দেশ গঠনে দীপ্ততা নিয়ে এগিয়ে যাই।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গ বন্ধু।
আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী
জাতীয় সংসদ সদস্য রাজবাড়ী-১
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।