জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির খবরে শুক্রবার রাতে রাজবাড়ীর তেলের পাম্পে তেল গ্রহিতাদের ভিড় দেখা গেছে। তেল কিনতে এসে গ্রাহক ও পাম্প কর্তৃপক্ষের মাঝে বাকবিতন্ডাও করতে দেখা যায়। তেলর দাম অতিমাত্রায় বৃদ্ধির কারণে গ্রাহকদের মাঝে চাপ ক্ষোভ দেখা গেছে।
অকটেন ও পেট্রল ৪৭ টাকা বাড়ানোর কারণে প্রতি লিটার অকটেন ও পেট্রল বর্তমানে গ্রাহকদের ১৩৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে শহরের নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত কাজী ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, মোটরসাইকেলের ভিড় লেগে আছে। ফিলিং স্টেশনের দুইজন কর্মচারী তেল বিক্রি করছেন। তবে একশ টাকার বেশি তেল বিক্রি করা হয়নি। চাহিদা অনুযায়ী তেল না পেয়ে ক্ষিপ্ত হচ্ছিল ক্রেতারা। এরকই অবস্থা শহরের শ্রীপুর এলাকার পলাশ ফিলিংস স্টেশনে। সেখানে রাত এগারোটার সময় তেল বিক্রি বন্ধ করে দিলে ক্রেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
রাতে পলাশ ফিলিং স্টেশনে তেল নিতে আসা মোটরসাইকেল চালক ইয়াছিন জানান, শুক্রবার রাত পৌনে এগারেটার সময় তেল নিতে গিয়ে দেখেন লম্বা লাইন। হঠাৎ করে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন।
কামরুল ইসলাম নামে আরেকজন জানান, দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর একশ টাকার তেল পেয়েছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের ব্যয় প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু আয় বাড়ছেনা। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে পরিস্থিতি কী হবে বলা মুশকিল।
শনিবার সকাল থেকে ফিলিং স্টেশন গুলোতে ক্রেতাদের চাপ নেই বললেই চলে। নতুন বাজার এলাকার কাজী ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ার আব্দুর রাজ্জাক শনিবার সকালে জানান, সকাল থেকে ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে।
অসহনীয় ভাবে বাড়ানোর কারণে ডিজেল চালিত যানবাহন চালক ও কৃষির সেচ কাজে ব্যবহৃত চাষীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। গ্রাহকরা তেলের দাম কমানোর দাবি জানান।