গোয়ালন্দ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত ডিম ও গ্যাস বিক্রির পাইকারী প্রতিষ্ঠান ‘মের্সাস দাদাভাই এন্টারপ্রাইজ’ নামক একটি দোকানের তালা ভেঙে নগদ টাকা, ব্যাংকের চেকবই,পাসপোর্টসহ জমির দলিল চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে প্রতিষ্ঠানের নৈশ প্রহরীকে হাত-পা, মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় ৮ ঘন্টা পর সেখান থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসজিদের বারান্দা থেকে নৈশ প্রহরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে এ ঘটনাটি ঘটে।
মের্সাস দাদাভাই এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্ত্বাধিকারী রেজাউল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সামনে শামসু শেখ (৩৭) নামের এক যুবক পাহারাদার হিসেবে ছিলেন। বুধবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের শাটার খোলা থাকা দেখে তাদেরকে খবর দেন। খবর পেয়ে দেখেন দোকানের কলাপসিবল গেটে লাগানো সবকটি তালা নেই। দুর্বৃত্তরা তালা কাটার পর শাটারের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তারা লোহার লকারের তালা ভেঙে নগদ পৌনে ২ লাখ টাকা, তিনটি ব্যাংকের চেকবই, পাসপোর্ট এবং বাড়ির কিছু জমির দলিল নিয়ে যায়। এ সময় দূর্বৃত্তরা প্রতিষ্ঠানের চারপাশে স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) ভাঙচুর করে হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানের বাইরে লাগানো বৈদ্যুতিক বাতিও তারা ভেঙ্গে ফেলে।
এদিকে অপহরণেরর শিকার প্রতিষ্ঠানটির পাহারায় শামসু শেখকে প্রায় ৮ ঘন্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা কমপ্লেক্সে জামে মসিজদের বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়।
খবর পেয়ে দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, উদ্ধার হওয়া নৈশ প্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। ঘটনার অনুসন্ধান এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।