গতকাল বুধবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে অভিযান চালিয়ে চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সদস্যরা।
জানা গেছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫১ ধারায় গোয়ালন্দ রেল গেইট নসরউদ্দিন সরদার পাড়ার সুমনা স্টোরকে তিন হাজার টাকা, শিমু স্টোর তিন হাজার টাকা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও সংরক্ষণ না করা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৮ ও ৫১ ধারায় হাসপাতাল গেটের ভাই ভাই স্টোরকে চার হাজার টাকা এবং খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ করা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪২ ও ৪৩ ধারায় হাসপাতাল সড়কের মা ফুড প্রোডাক্টসকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসক, রাজবাড়ীর সার্বিক নির্দেশনায় রাজবাড়ী জেলা কার্যালয় কর্তৃক রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় বিভিন্ন বাজারে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে গোয়ালন্দ উপজেলার নসরউদ্দিন সরদার পাড়া ও গোয়ালন্দ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, বেকারি ও খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনকারী ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানসহ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে নিষিদ্ধ পণ্যের উৎপাদন ও বিক্রয়রোধ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ রোধসহ, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য এবং অননুমোদিত ও অবৈধ পণ্য বিক্রয় না করাসহ ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয়। এছাড়াও উপস্থিত সর্বসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়। উক্ত কার্যক্রম পরিচালনাকালে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৮, ৪২, ৪৩ ও ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত বিভিন্ন অপরাধে যথাক্রমে; ০৪ (চার) টি প্রতিষ্ঠানকে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। উপজেলা প্রশাসন গোয়ালন্দ উপজেলা রাজবাড়ী ও জেলা চেম্বার অব্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষ এর সহায়তায় এবং জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক রাজবাড়ী ও পুলিশ লাইন্স রাজবাড়ী এর সদস্যবৃন্দ- এর অংশগ্রহণে উপর্যুক্ত তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। জনস্বার্থে এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।