হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ী জয়দেব কর্মকারের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামছে মানুষ।
রাজবাড়ী পৌর এলাকার ভবানীপুরে ঐতিহ্যবাহী ভোলা মাস্টারের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে নারীসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে জখম করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখা। একই প্রতিবাদে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখা।
রোববার রাজবাড়ী প্রধান সড়কে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে মহিলা পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি পূর্ণিমা দত্তের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা অ্যড. দেবাহুতি চক্রবর্তী, সাবেক সভাপতি লাইলী নাহার, সাধারণ সম্পাদক ক্রিষ্টিয়ানা মারিও রেখা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত বৃহষ্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ী শহরের সম্ভ্রান্ত ভোলা মাস্টারের পরিবারের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে তাদের উপর বর্বর হামলা চালানো হয়। এসময় তিন নারীকে পিটিয়ে জখম করা হয়। একই সাথে নারীদের লাঞ্ছিত করা হয়। এঘটনার সুঞ্ছু বিচার দাবি করেন বক্তারা। মানববন্ধন শেষে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। জেলার নানা শ্রেণি পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখা বিকেলে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও জয়দেব কর্মকারের গ্রেপ্তার দাবি জানিয়েছে।
সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রদীপ্ত চক্রবর্তী কান্ত বলেন, জয়দেব কর্মকারের বাবা কিছুদিন আগেও একটি রাজবাড়ী বাজারের সোনার দোকানের কর্মচারী ছিলেন। জয়দেব কর্মকারের এতো অর্থের উৎস কোথায় তা খুঁজে বের করতে হবে। সে যেটা করেছে তার নিন্দা জানাই। তাকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক। তাকে রোধ করা না গেলে আমরা মুখ দেখাতে পারব না। তাকে গ্রেপ্তার করা না হলে অবিলম্বে রাস্তায় নামবেন বলেও ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে স্বপন কুমার দাস বলেন, গত ২ জুন তারিখে জয়দেব কর্মকারের নেতৃত্বে ভোলা মাস্টারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির নারীদের মারধর ও শ্লীলতাহানি করেছে। এখনও পরিবারটি আতংকে দিন কাটাচ্ছে।
ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এসময় সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি অরুণ কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার সরকার, মিহির চক্রবর্তী, সুশীল দত্ত, সুকুমার সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।