রাজবাড়ী জেলা সদরের দাদশী ইউনিয়নের সিংগা নিজাতপুর বাজারে দুই পক্ষের মারপিটের ঘটনায় চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা তালা মেরে বন্ধ করে দেয় প্রতিপক্ষ।
ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সিংগা নিজাতপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মেসার্স খান ট্রেডার্সের মালিক মো. আজাহার আলীর সিমেন্টের গোডাউনে থাকা ৬শ বস্তা সিমেন্ট জমাট হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে তার সাড়ে তিন লক্ষ টাকার সিমেন্ট নষ্ট হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করে দেওয়ায় তার এ দুই মাসে সিমেন্ট সহ বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
বাজারের শেখ ‘স’ মিল নামে কাঠ চিড়াই মিলটিও দুই মাস ধরে বন্ধ করে রাখতে বাধ্য করা হয়। পরে মিলের মালিকের কাছে বাজার কমিটির মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকা দিলে খুলে দেওয়ার দেওয়ায় অফার দেওয়া হয়। টাকা না দেওয়ায় এতদিন মিলটি বন্ধ রাখা হয়েছিল জানান মিল মালিক আসলাম শেখ। শনিবার সকাল এগারোটার দিকে বাজার লোকজনের সহযোগীতায় সভাপতি আজাহার আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শেখ ‘স’ মিলসহ বন্ধ প্রতিষ্ঠান খুলে কার্যক্রম শুরু করেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মজিবর শেখ,আ. রাজ্জাক খান, মোজাহার খান,মজিবর খান, বেলায়েত খান, সাবেক মেম্বার শাখাওয়াত হোসেন সহ অনেকে। তবে বাজার কমিটির সদস্যদের জানানো হলেও তারা কেউ মার্কেট খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন না।
গত কোরবানির ঈদে গরু ছাগলের হাঁটের ইজারার টাকা হাঁটে কর্মরত সদস্যদের পাওনা টাকা না দেওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে চেয়ারম্যানসহ উভয় পক্ষের ৮/১০ জন জখম হয়। পরে চেয়ারম্যান পক্ষ প্রবাসী আকবর খান সহ ১০/১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে চেয়ারম্যানের বাবা। পরে এ ঘটনার জেরে আকবর খানের ভাই সহ তার আত্মীয় স্বজনদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয় চেয়ারম্যান পক্ষ।
বাজার কমিটির নির্বাচিত সভাপতি আজাহার আলী বলেন, ঈদের পর মারপিটের ঘটনায় আমার দোকান বন্ধ করে রাতে বাড়ি যাই। এর পরদিন দোকানে এসে দেখি দোকান গোডাউন তালাবদ্ধ। এই মারপিটের ঘটনায় আমার নামে মামলাও করে দেলোয়ার চেয়ারম্যান। দুই মাস পরে বাজারের মানুষের সহযোগীতায় তালা ভেঙ্গে দোকান খুলেছি। তবে গোডাউনের তালা খুলে দেখি ৬ শ বস্তা সিমেন্ট নষ্ট হয়ে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
দাদশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেখ দেলো জানান, ঈদের সময় গরু হাটকে কেন্দ্র করে আমি সহ আমাদের আমাদের বাড়ির লোকজনদের মারপিট করে। এখন উল্টো তারাই তাদের দোকানপাট ও মাদ্রাসা বন্ধ করে আমার নাম দিচ্ছে।
বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. সুমন শেখ বলেন, দোকানে কারা তালা লাগিয়েছে আমি তা জানিনা। দোকান খুলবে কিনা আমাকে কেউ কিছু জানায়নি।