রাজবাড়ীতে শান্তি ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির লক্ষ্যে জেলা বিএনপির একাংশের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিকেল ৪টায় রেলগেট শহীদ মুুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্ত্বরে দুটি ট্রাক দিয়ে নির্মিত মঞ্চে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী যোগ দেন। রেলগেট থেকে তিনদিকের রাস্তা ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পর আজ এখানে বক্তব্য দিচ্ছি। এতদিন আমরা রাস্তায় দাঁড়াতে পারি নাই। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এসব কারণে আজ আমরা উচ্ছ্বাস করতে পারছি না। ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যায্য আন্দোলনকে শেখ হাসিনা মেনে নেননি। তাদেরকে অপমান করেছেন। রাজাকারের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে সবকিছু দলীয়করণ করা হয়েছে। তাদের লোকজন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মেতে উঠেছিল। বিগত তিনটি নির্বাচন কীভাবে হয়েছে তা আপনারা জানেন। আমাদের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে জেলে রাখা হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে চিকিৎসার সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। রাজবাড়ীর বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনও দলীয়করণ করা হয়েছে। আমরাও ক্ষমতায় ছিলাম। কাউকে কখনও অসম্মান করিনি।
তিনি আরও বলেন, রাজবাড়ী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর। আমাদের ঐক্য আর সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করবে। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কোনো সংখ্যালঘু যেন নির্যাতনের শিকার না হয়। এলাকায় পাহারা দিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নইম আনছারী, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম দুলাল, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আহসান হাবীব, বিএনপি নেতা এ মজিদ বিশ^াস, আব্দুর রউফ হিটু, আকমল হোসেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খায়রুল আনাম বকুল, কৃষকদলের আহ্বায়ক আইয়ুব আলী, মহিলা দলের সভানেত্রী ইয়াসমীন আক্তার প্রমুখ।