রাজবাড়ীতে রাজপথ দখলে রেখেছিল আওয়ামী লীগ। সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেখা যায়নি। রোববার সকাল ১০টার পর থেকে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল মহড়া ও শ্লোগানে শহরে আতঙ্কের সৃষ্টি তৈরি হয়। এ সময় বিভিন্ন পয়েন্টে মোড়ে মোড়ে পুলিশের অবস্থান ছিল। সাধারণ ছাত্ররা জমায়েত হওয়ার উদ্যোগ নিলেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে।
পূর্বনির্ধারিত সময়ে অসহযোগ আন্দোলন সফল করার জন্য সকাল থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজবাড়ী শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়।
জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বড় একটি মিছিল নিয়ে বড়পুল মোড়ে আসেন। পরে মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে আসেন। এ সময় তারা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থানে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেন। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে শহর ছাড়া করেন তারা।
দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় থেকে বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী উপস্থিত ছিলেন। জেলা আ.লীগ সহ-সভাপতি ফকরুজ্জামান মুকুট, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রকিবুল হাসান পিন্টু, জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মো. শাহিন শেখ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।